ফেনীতে গরু ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার, আটক ১

ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর এলাকা থেকে এক গরু ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে গ্রামের একটি পুকুর থেকে গরু ব্যবসায়ী মোহম্মদ শাহ জালালের (৩৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।

শাহ জালালের পরিবারের দাবি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফেনী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ও তাঁর সহযোগীরা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

পুলিশ ও শাহ জালালের স্বজনেরা বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে ১০টি গরুবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ে শাহ জালাল নামের ওই গরু ব্যবসায়ী ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ রোডের সাহেববাড়ি এলাকায় আত্মীয় আল আমিনের বাসায় আসেন। গত বছরও তিনি ওই বাসায় থেকেই কোরবানির ঈদে গরুর ব্যবসা করেন। এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলর ও তাঁর সহযোগীরা গরুবোঝাই ট্রাক লুটের চেষ্টা করেন। এতে গরু ব্যবসায়ী ও তাঁর অপর সহযোগীরা বাধা দেন। পরে শাহ জালালকে গুলি করে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। শাহ জালাল কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি নিজ এলাকা থেকে গরু নিয়ে কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য ফেনী আসেন।

গরু ব্যবসায়ী শাহ জালালের আত্মীয় আল আমিন অভিযোগ করে বলেন, শাহ জালাল গরু নিয়ে আসার পর রাতেই স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম ও তাঁর সহযোগীরা গরুবোঝাই ট্রাকটি লুটের চেষ্টা চালান। শাহ জালাল ও তাঁর অপর সহযোগীরা বাধা দিলে সেখানে গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে শাহ জালালকে গুলি করে হত্যার পর তাঁর লাশ নিয়ে যান তাঁরা।

খবর পেয়ে আজ সকালে ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাঈনুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ওসি মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, গরু ব্যবসায়ী শাহ জালালের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।