ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাংসদের পক্ষে মামলা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগ এনে চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন স্থানীয় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে মোরশেদুর রহমান নামের এক যুবক। ওই যুবক নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে থাকেন।

এদিকে অপর এক সাংবাদিককে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।

গত শনিবার রাতে বাঁশখালী থানায় চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ফারুক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন মোরশেদুর রহমান।

বাঁশখালীতে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। ফলে ছাত্রলীগে মোরশেদুর রহমান আনুষ্ঠানিক কোনো পদ নেই। তবে সাংসদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মোরশেদুর রহমানকে দায়িত্ব পালন করতে যায়।

মামলার বাদী ছাত্রলীগ নেতা মোরশেদুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিক ফারুক আবদুল্লাহ বাঁশখালীর সাংসদ ও নেতাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মনগড়া ও সম্মানহানিমূলক পোস্ট দিয়েছেন। সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রতিনিধি হয়ে আমি মামলার বাদী হয়েছি।’

এ বিষয়ে ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি কাউকে হেয় করে কোনো পোস্ট দিইনি। খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।’

মামলার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কটূক্তির অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম শহরের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাংবাদিককে অপহরণের অভিযোগ
একুশে পত্রিকা নামের অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমের বাঁশখালী প্রতিনিধি বেলাল উদ্দিনকে (২৮) অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে বাঁশখালীর পুঁইছড়ি সরলিয়া বাজার সেতু এলাকা থেকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। পরে রাত ১০টার দিকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ।

বাঁশখালী থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, একুশে পত্রিকার বাঁশখালী প্রতিনিধিকে দুটি অটোরিকশা ব্যবহার করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা অপহরণ করে। খবর পেয়ে ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদের সহায়তায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত চলছে।