বকেয়া বেতনের দাবিতে কাঁচপুরে আবার শ্রমিকদের বিক্ষোভ

বকেয়া বেতনের দাবিতে আবারও টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে
প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে আবারও বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক দফা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেছেন ওপেক্স অ্যান্ড সিনহা গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে চাঁদমহল সিনেমা হলের সামনে প্রায় ৩০০ শ্রমিক সড়কে অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশের সদস্যরা শ্রমিকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন।

একই দাবিতে গতকাল বুধবার কাঁচপুর এলাকায় বিকেল থেকে অবরোধ চলে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সরাতে গেলে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন শ্রমিকেরা। বিক্ষোভরত শ্রমিকদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলে এ ঘটনা।

এ ঘটনায় সজীব নামের গুরুতর আহত এক পুলিশ সদস্যকে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে। এ সময় শ্রমিকদের ছোড়া ইটের আঘাতে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৫ পুলিশ সদস্য ও প্রায় ৩৫ শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩০টি কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ৬০টি রাবার বুলেট ছোড়ে।

এর আগে গতকাল বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

আজ অবরোধে অংশ নেওয়া শ্রমিক রায়হান বলেন, শ্রমিকদের অবসরজনিত ভাতা, মাতৃত্বকালীন ছুটি, বার্ষিক ছুটির টাকা, মৃত্যুজনিত এককালীন বিমার টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে না। এ নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বললে ছাঁটাই করার ভয়ভীতি দেখায়। এ বিষয়ে আরও কয়েক শ্রমিক বলেন, বকেয়া বেতন না পাওয়ায় তাঁরা আবারও সড়কে নেমেছেন। মালিকপক্ষ বারবার সময় নিলেও পাওনা পরিশোধ করছে না। শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ না করলে মহাসড়কে বিক্ষোভ চলবে।

শিল্প পুলিশ-৪-এর নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার আইনুল হক বলেন, শ্রমিকেরা বিক্ষিপ্তভাবে সড়কে নেমে অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বড় এলাকা তো, তাই শ্রমিকেরা বিভিন্নভাবে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছে।

আইনুল হক আরও জানান, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা আগামী বুধবার পাওনা পরিশোধ করবেন বলে সময় দিয়েছেন। শ্রমিকেরা তবুও সেটা না মেনে সড়কে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছেন।