বগুড়া পৌর নির্বাচনে জামানত হারালেন আ.লীগের মেয়র প্রার্থী

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ দুজন জামানত হারিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ওবায়দুল হাসান। তিনি ৬২ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর কাছে হেরেছেন।

আবু ওবায়দুল হাসান ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৯টি। অন্যদিকে, বেসরকারিভাবে বিজয়ী ধানের শীষের প্রার্থী রেজাউল করিম বাদশা ৮২ হাজার ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) আবদুল মান্নান পেয়েছেন ৫৬ হাজার ভোট।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাহ গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ দুজনের জামানত হারানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী জামানত তুলতে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ পেতে হয়। গত রোববার অনুষ্ঠিত বগুড়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ১১২। আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু ওবায়দুল হাসান ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৯টি, যা প্রদত্ত ভোটের ১২ শতাংশ। জামানত ফেরত পেতে তাঁর ভোটের প্রয়োজন ছিল ২০ হাজার ৬৩৯টি। কিন্তু তিনি ৫৫০ ভোট কম পেয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী আবদুল মতিন হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ১৯১টি। তিনিও জামানত খুইয়েছেন।

নৌকার প্রার্থীর জামানত হারানোর বিষয়ে রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বগুড়ায় নৌকার এই পরাজয়ে আওয়ামী লীগ দায়ী নয়, দলের স্থানীয় নেতৃত্ব আর সাংগঠনিক ব্যর্থতা দায়ী। বগুড়ায় আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী আছেন, অনেক ভোটও আছে। মানুষ পরিবর্তন চায়। কিন্তু সেখানে ত্যাগী সংগঠক নেই। সেখানকার নেতারা কেউ শেখ হাসিনার আদর্শের রাজনীতি করেন না, তাঁরা দলীয় বিভেদ-বিভক্তি আর নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন। দলের স্বার্থ নিয়ে কেউ ভাবেন না। দলীয় নেতারা ঐক্যবদ্ধ ও আন্তরিক হলে নির্বাচনে জয়লাভ কোনো ব্যাপার ছিল না।