বগুড়ায় অপহরণ, ঢাকায় উদ্ধার
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার এক তরুণকে অপহরণের ১৮ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সাভার থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাতেই তাঁকে শেরপুরে আনা হয়। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
ওই তরুণ হলেন ইকবাল হোসেন (২৬)। তাঁর বাড়ি নন্দীগ্রামের রণবাঘায়। তিনি শেরপুর শহরের ধুনট সড়কের একটি মেসে থাকতেন। তিনি একটি বেসরকারি বীজ ও কীটনাশক কোম্পানির শেরপুর ও ধুনট উপজেলা প্রতিনিধি।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, উদ্ধারের পর ইকবাল অপহরণ নিয়ে কিছু তথ্য পুলিশকে জানিয়েছেন। এসব তথ্য যাচাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উদ্ধারের সময় ইকবাল শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর কথাতেও জড়তা পাওয়া যায়।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইকবাল ৬ ডিসেম্বর রাতে শেরপুর শহরের খেজুরতলা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। পরদিন তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সীমাবাড়ি সড়কের জামতলা এলাকায় পাওয়া যায়। ইকবালকে পাওয়া না যাওয়ায় ১০ ডিসেম্বর রাতে তাঁর বড় ভাই নাজমুল হুদা শেরপুরের তিনজনের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেন। রাতেই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন উপজেলা শহরের হাসপাতাল সড়কের পল্লীবাস এলাকার নাহিদ হাসান (৩৪), শান্তিনগর এলাকার মো. আরিফ শেখ (২৭) ও পশ্চিম দত্তপাড়ার তবিবর রহমান (২৯)। তাঁদের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ (রিমান্ড) করা হয়। তাঁরা ইকবালের বিষয়ে কিছু তথ্য দেন। এর ওপর ভিত্তি করে পুলিশ ঢাকা ও সাভারে ইকবালকে খুঁজতে থাকে।
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় বর্মণ বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সাভারের জোড়গাছা এলাকায় ইকবালের খোঁজ পাওয়া যায়। রাতেই তাঁকে উদ্ধার করে শেরপুর থানায় আনা হয়। এ সময় ইকবাল শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁর কথাতেও জড়তা পাওয়া যায়। আজ বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছে।