বগুড়ায় আগুনে পুড়ল তিন মুঠোফোন কেয়ার সেন্টার

বগুড়া শহরে আলআমিন কমপ্লেক্স নামে একটি বিপণিকেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে
ছবি: প্রথম আলো

বগুড়া শহরে আলআমিন কমপ্লেক্স নামে একটি বিপণিকেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনায় মুঠোফোন প্রস্তুতকারী তিনটি প্রতিষ্ঠানের কেয়ার সেন্টার পুড়ে গেছে। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে অবস্থিত বিপণিকেন্দ্রের তিনতলায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।

বিপণিবিতানের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তৃতীয় তলায় মুঠোফোন প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন অপ্পো,শাওমি, কেজিটেল নামে তিনটি মুঠোফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়ার কুণ্ডলী ও আগুনের শিখা আলআমিন কমপ্লেক্সজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বগুড়া স্টেশনে খবর দেন।

বগুড়া শহরে আলআমিন কমপ্লেক্স নামে একটি বিপণিকেন্দ্রে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
ছবি: প্রথম আলো

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বগুড়া স্টেশনের সহকারী পরিচালক আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে বগুড়া স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে বগুড়া স্টেশন থেকে আরও তিনটি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। গাবতলী ও কাহালু স্টেশন থেকে ডাকা হয় আরও দুটি ইউনিটকে। মোট সাতটি ইউনিটের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

আবদুল হামিদ আরও বলেন, আলআমিন কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় আগুনে ওই তিনটি কাস্টমার কেয়ার সেন্টার পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।


আলআমিন কমপ্লেক্সের তিন-চারজন ব্যবসায়ী জানান, আলআমিন কমপ্লেক্সে কয়েক শ দোকানপাট রয়েছে। নিচতলায় মুঠোফোন ছাড়াও পোশাকের দোকান আছে। দোতলা ও তিনতলাজুড়ে মুঠোফোনের দোকান এবং কাস্টমার কেয়ার সেন্টার। কমপ্লেক্সের ওপরের আরেক পাশে অত্যাধুনিক সোনিয়া সিনেমা হল। রাতে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরপরই আলআমিন কমপ্লেক্স থেকে আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে আশপাশের বিপণিবিতানের ব্যবসায়ীরা সেখানে ভিড় করেন। তাঁদের চোখে–মুখে ছিল শঙ্কা-উৎকণ্ঠা।