বগুড়ায় আটকে রাখা হচ্ছে দূরপাল্লার বাস

ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে চলাচল করা দূরপাল্লার বাস আটকে দেয় পুলিশ। আজ রোববার সকালে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ী এলাকায়
ছবি: সোয়েল রানা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রী নিয়ে গতকাল শনিবার রাতে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে অর্ধশতাধিক বাস। মধ্যরাতে বগুড়ায় এসব দূরপাল্লার বাস আটকে দেয় পুলিশ।

আজ রোববার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষার পর দূরপাল্লার যাত্রীরা ছোট ছোট মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে রওনা দেন গন্তব্যে। ৭ সিটের মাইক্রোবাসে ১০ জন ও ৯ সিটের মাইক্রোবাসে ১৫ জন পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যায়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়ার বনানী দ্বিতীয় বাইপাস লিচুতলা মোড়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। সেখানে আটকে পড়া বেশির ভাগ দূরপাল্লার বাস ঢাকা-কুমিল্লা রুটের। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গে যাত্রী নিয়ে ফিরতি পথে এসব গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ রাতে ছেড়ে আসা বেশ কিছু বাসও মহাসড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে। বগুড়ার লিচুতলা মোড়েই দেখা গেল হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের যৌথ চেকপোস্ট। হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক ননীগোপাল বলেন, পথে পথে পুলিশের চেকপোস্ট থাকা সত্ত্বেও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বাস নানা পথে বগুড়া পর্যন্ত এসে পড়ছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ আর মানবিক কারণে শেষ পর্যন্ত এসব বাস আটকানো হচ্ছে না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে চলাচল করা অর্ধশতাধিক দূরপাল্লার বাস আটকে দেন। আজ রোববার সকালে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ী এলাকায়
ছবি: সোয়েল রানা

বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সদস্য তৌফিক হাসান বলেন, তিনি রংপুর থেকে কৃষিশ্রমিক পরিবহনের জন্য যথাযথ নিয়ম মেনে দুটি গাড়ি চলাচলে জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম দিনেই রংপুর থেকে বগুড়ায় এক ট্রিপ যাত্রী আনতে গিয়ে লোকসান যায়। পরে আর গাড়ি পাঠাননি।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, তৌফিক হাসান নামের একজন মালিকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ধান কাটার শ্রমিক পরিবহনের জন্য অন্য জেলায় দুটি গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে জেলা পুলিশ কোনো গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়ার কথা নয়।

বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় ধান কাটা শ্রমিক পরিবহনের জন্য সীমিত কয়েকটি গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব গাড়িতে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় সাধারণ যাত্রী পরিবহনের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। তা ছাড়া ঢাকায় কোনো গাড়ি চলাচলের কথা নয়। কেউ বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে অন্য জেলায় সাধারণ যাত্রী পরিবহন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।