বগুড়ায় কিশোরী শ্যালিকাকে অপহরণ মামলায় ভগ্নিপতির ১৪ বছরের কারাদণ্ড

স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর এসএসসি পরীক্ষার্থী শ্যালিকাকে পীরব বাজার থেকে ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি অপহরণ করেন আবদুল কুদ্দস।

আদালতে সরকারপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আশিকুর রহমান বলেন, আদালত আসামি আবদুল কুদ্দুসকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ছাড়াও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের রায় প্রদান করেছেন।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পীরব এলাকার বুলু সরদারের কন্যা সালমা আক্তারকে (২২) বিয়ে করেন একই এলাকার আবদুল কুদ্দুস। স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর এসএসসি পরীক্ষার্থী শ্যালিকাকে পীরব বাজার থেকে ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি অপহরণ করেন আবদুল কুদ্দস। ওই ঘটনায় স্ত্রীর ভাই শফিকুল ইসলাম ভগ্নিপতি আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি শিবগঞ্জ থানায় অপহরণ মামলা করেন। পুলিশ ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার এবং আবদুল কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করে।

তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির উপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক আজ এই রায় প্রদান করেন।