বগুড়ায় লাউখেত থেকে আট বছরের শিশুর লাশ উদ্ধার

লাশ
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের মানিকদীপা গ্রামের একটি লাউখেত থেকে আট বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে গ্রামের কৃষকেরা খেতে কাজ করতে গিয়ে জাঙলার নিচে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লাশটি দেখতে পায়। গলায় রশি পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

মারা যাওয়া ওই শিশুর নাম সামিউল। সে শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর পূর্বপাড়া তালিমুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল। মাদ্রাসার রেজিস্টারে তার ঠিকানা লেখা—উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রাম, মায়ের নাম সালেহা বেগম, বাবার নাম জাহাঙ্গীর।

শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রউফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাতের আঁধারে শ্বাস রোধ করে শিশুটিকে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে জমিতে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় কৃষকেরা শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। লাশের শরীরে মেটে রঙের পাঞ্জাবি, নীল জিন্স প্যান্ট ও পায়ে কালো রঙের প্লাস্টিকের স্যান্ডেল রয়েছে। মাথায় বর্ণিল টুপি ছিল।

লাশ উদ্ধারের পর বেলা ১১টার দিকে থানা–পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত, রহস্য উদ্‌ঘাটন ও আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার থেকে শুরু করে যা করার দরকার, তা করা হবে।