বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির মামলায় তারেক রহমানের ২ বছর কারাদণ্ড

তারেক রহমান
ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নড়াইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদা ওই রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় বিএনপি ঘরানার কোনো আইনজীবী বা বিএনপির নেতা-কর্মীদের আদালত এলাকায় দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ ঘরানার আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ওমর ফারুক। তবে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী ছিলেন না। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী সঞ্জীব কুমার বসু। তিনি বলেন, তারেক রহমান যেদিন গ্রেপ্তার হবেন, সেদিন থেকে এই রায় কার্যকর হবে। তিনি পালাতক থাকায় তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মো. শাহাজান বিশ্বাস কালিয়া আমলি আদালতে মামলা করেন। শাহাজান বিশ্বাস কালিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক থানা কমান্ডার ও কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে ইংল্যান্ডের ইস্ট লন্ডনের এন্ট্রিয়াম ব্যাংকওয়েট হলে যুক্তরাজ্য বিএনপির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তারেক রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করেন।

রায় ঘোষণার পর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী বলেন, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। রায়ে ন্যায়বিচার পাননি। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।