বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০ কবিতার হিন্দি অনুবাদগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠান

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১০০ কবিতার হিন্দি অনুবাদগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে
ছবি: প্রথম আলো

‘ম্যায় আজ কিসি কা খুন লেনে নেহি আয়া’ কবি নির্মলেন্দু গুণের বিখ্যাত কবিতার হিন্দি অনূদিত শিরোনাম এটি। যার বাংলা অর্থ ‘আমি আজ কারও রক্ত চাইতে আসিনি।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিবেদিত এমন ১০০ কবিতা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদীর হিন্দি অনুবাদগ্রন্থ ‘জন্মশতবর্ষ কী শ্রদ্ধাঞ্জলি: বাংলাদেশকে রাষ্ট্রপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কো বিনেদিত সৌ কবিতায়েঁ’-এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত প্রকাশনা উৎসবের মূল আলোচক ছিলেন অনুবাদক ও গবেষক জাভেদ হুসেন। তিনি বললেন, ‘আরাকান রাজসভার কবি আলাওল হিন্দি থেকে পদ্মাবতী অনুবাদ করে আমাদের ঋণী করে রেখেছিলেন। এই অনুবাদগ্রন্থের মাধ্যমে সফিকুন্নবী সামাদী শত বছরের ঋণ ফিরিয়ে দিলেন।’

দিল্লি থেকে প্রকাশিত এই গ্রন্থ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে জাভেদ হুসেন হিন্দি ও উর্দু ভাষার উৎপত্তির কথা বলেন। তিনি বলেন, ব্রিটিশরা হিন্দু-মুসলিমকে বিভক্ত করতে তাদের ভাষাও ভাগ করে দিয়েছিল। সেই থেকে মনে করা হয়, উর্দু মুসলমানের ভাষা আর হিন্দি হিন্দুদের ভাষা। আসলে দুটি ভাষা একই। দুই ভাষার ক্রিয়াপদ একই। জাভেদ হুসেন এই কাব্যগ্রন্থ থেকে কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘আমি আজ কারও রক্ত চাইতে আসিনি’ কবিতাটির হিন্দি এবং বাংলা ভার্সনের তুলনামূলক আলোচনা করেন। তিনি অনেক হিন্দি, উর্দু ও বাংলা কবিতার উদাহরণ টেনে তাঁর আলোচনাকে প্রাঞ্জল করে তোলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়া, মো. সুলতানুল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অবায়দুর রহমান প্রামাণিক।

উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, পৃথিবীতে ৩০ কোটি বাঙালি আছে। আর হিন্দিভাষী মানুষ আছে প্রায় ৬০ কোটি। তাদের কাছে এই কাব্যগ্রন্থ বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছে দেবে।

অনুবাদক অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, করোনাকালে বসে তিনি এই ১০০টি কবিতা বাছাই করে অনুবাদ করেছেন। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা উর্দু ভাষার কবিতাও আছে।

অন্য বক্তারাও অনুবাদগ্রন্থের ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মো. আরিফ হায়দার।