বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের রাস্তায় বিচারক-সরকারি কর্মকর্তারা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রামের রাজপথে বিচারকেরা
ছবি: প্রথম আলো

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় এবার প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন চট্টগ্রামের বিচারকেরা। আজ শনিবার সকালে নগরের দামপাড়ায় পুনাকের সামনে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির ব্যানারে মানববন্ধন করেছেন তাঁরা। এ সময় বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রায় ১০০ বিচারক উপস্থিত ছিলেন। পরে মিছিল নিয়ে বিচারকেরা এম এম আলী রোডে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে যান। সেখানে সরকারি অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন বিচারকেরাও।

চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ে জাতি আজ বিক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদমুখর। বিচারকেরাও এই জাতির অংশ। তাঁরা এ দেশের নাগরিক। বিচারকদেরও দায়িত্ব আছে নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হওয়ার। জাতির জনকের প্রশ্নে বিচারকদের কাছে কোনো আপস নেই। সংবিধান জাতির জনকের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখার জন্য বিচারকদের দায়িত্ব দিয়েছে।’

এদিকে একই সময়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশসহ (সিএমপি) পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ মানববন্ধন, কেউ বিক্ষোভ মিছিল, কেউ মৌন মিছিল করেন। পরে সবাই শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে সমবেত হন।

পরে শিল্পকলা একাডেমিতে ‘জাতির পিতার সম্মান, রাখব মোরা অম্লান’—এ স্লোগানে ভাস্কর্যবিরোধীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে একে একে বক্তব্য দেন বিচারকসহ সর্বস্তরের কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন, মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান, বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক আবু সাঈদসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমরা বিচারকেরাসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ এক হয়েছি। মৌলবাদী গোষ্ঠীকে বুঝিয়ে দিতে চাই যে আমরা একত্র। আমরা সবাই মৌলবাদের বিরুদ্ধে এই ম্যাসেজ দিতে চাই।’