বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন জিয়া: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।ছবি: প্রথম আলো
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
ছবি: প্রথম আলো

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরের কয়েক বছর বাংলাদেশ রাজাকারদের দেশে পরিণত হয়েছিল।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ রোববার দুপুরে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলায় আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা ও স্বাধীনতাবিরোধীরা জামায়াতে ইসলামী ও পাকিস্তানের পক্ষের লোক। পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে স্তব্ধ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু এ দেশকে স্বাধীন করার জন্য জীবনের সব সুখ-শান্তিকে বিসর্জন দিয়েছিলেন। আর সেই জাতির জনককে হত্যা করে ওরা জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকার কুখ্যাত রাজাকার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে সাংসদ করেছিল। আরেক রাজাকার আবদুর রহমান বিশ্বাসকে রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত করে দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে অপমানিত করেছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। ওরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান জড়িত রয়েছেন।

নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অমূল্য রঞ্জন হালদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারেফ হোসেন খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল কান্তি বিশ্বাস প্রমুখ।