বজ্রপাতে দুই কৃষক ও এক বালুশ্রমিকের মৃত্যু

বজ্রপাত
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার কেন্দুয়া ও দুর্গাপুর উপজেলায় সোমবার বজ্রপাতে এক কৃষক ও এক বালুশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। একই দিন জামালপুরে বজ্রপাতে মারা গেছেন আরও এক কৃষক।

কেন্দুয়ায় মারা যাওয়া কৃষকের নাম সুমন মিয়া (২৫)। তিনি উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের বান্দনাল কোনাপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুমন মিয়া আড়ালিয়া গ্রামের আবুল হাসনাতের বাড়িতে কৃষিশ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সোমবার বিকেলে গ্রামের সামনের হাওরে কাজ করছিলেন। এ সময় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মঈন খন্দকার বলেন, সুমন মিয়ার পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

জেলার দুর্গাপুরে বজ্রপাতে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন (২৬)। তিনি উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের চৈতাটি গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইকবাল হোসেন বালুশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিদিনের মতো সোমবার দুপুরে সোমেশ্বরী নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করেন। পরে বড় নৌকায় পূর্বধলার জারিয়া ঘাটে বিক্রি করতে নিয়ে যান। বিকেলে নৌকায় করে বাড়ি ফেরার পথে গোরালী এলাকায় পৌঁছালে প্রচুর বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় তিনি ইঞ্জিনচালিত নৌকাটির সারেং হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দুর্গাপুরের ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান বলেন, ইকবাল হোসেনের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার হেমরাবাড়ি গ্রামে সোমবার দুপুরে বজ্রপাতে বাদশা মিয়া (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় তাঁর দুটি গরুও মারা গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাদশা মিয়া দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে মাঠ থেকে গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তাঁর সঙ্গে থাকা দুটি গরুও বজ্রপাতে মারা যায়।

স্থানীয় আদারভিটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলতাফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।