বদরগঞ্জে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তাকে রোববার বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই দিন সকাল আটটার দিকে উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাড়িতে ওই শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।

মেয়েটির বড় ভাইয়ের অভিযোগ, তাঁর ছোট বোনকে পারভেজ হোসেন (২৫) কৌশলে শোবার ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় বোনের চিৎকারে লোকজন ছুটে গেলে পারভেজ পালিয়ে যান। এরপর তাঁর বোন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে রোববার বিকেলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শিশুটির বড় ভাই জানান, পারভেজের স্ত্রী তিন দিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। এ সুযোগে তাঁর বোনের সর্বনাশ করেছেন পারভেজ।
বেলা দুইটার দিকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, মেয়েটির মা মেয়েটিকে ধরে কান্নাকাটি করছেন। শিশুটি শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে ছিল। কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছিল না। এ সময় মেয়ের মা অভিযুক্ত পারভেজের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শারমিন আক্তার বলেন, মেয়েটির জ্ঞান ফিরলেও কথা বলছে না। হয়তো ভয় পেয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) নাজমুল হুসাইন বলেন, যৌন নিপীড়নের বিষয়ে শারীরিক পরীক্ষার জন্য উপজেলা হাসপাতালে কোনো ব্যবস্থা নেই। কাজেই পরীক্ষা না করে যৌন নিপীড়নের বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
বদরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রণয় চন্দ্র রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে আজ রোববার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে অসুস্থ শিশুটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। শিশুটি অসুস্থ থাকায় কথা বলতে পারিনি। শিশুর বাবাকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তিনি যেভাবে এজাহার দেবেন, সেভাবেই নেওয়া হবে।’


অভিযুক্ত পারভেজ স্থানীয় একটি ইটভাটার শ্রমিক বলে জানা গেছে। রোববার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। বিকেলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।