বন্ধুকে মারধরের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে অস্ত্রের আঘাতে তরুণ নিহত

ছুরিকাঘাত
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় বন্ধুকে মারধরের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোহাম্মদ তারেক (২৩) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন হেলাল উদ্দিন ও সাজ্জাদ নামের অপর দুই তরুণ। আজ শুক্রবার সকালে নিহত তারেকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের খোর্দ্দ কেঁওচিয়া নুনুরবাপের হাটের মাঝেরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তারেক উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের আফজলনগর মুহুরীপাড়া এলাকার আবু ছিদ্দিকের ছেলে। তিনি কক্সবাজারে একটি দোকানে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুহুরীপাড়া এলাকার বাসিন্দা সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক শহিদুল ইসলামের সঙ্গে খোর্দ্দ কেঁওচিয়ার মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ জুয়েলের মধ্যে এক বছর আগে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই সময় স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হয়। তবে মোহাম্মদ জুয়েল অটোরিকশাচালক শহিদুলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। গতকাল দুপুরে শহিদুল যাত্রী নিয়ে খোর্দ্দ কেঁওচিয়া এলাকায় যান। সেখানে একা পেয়ে শহিদুলকে মারধর করেন জুয়েল। শহিদুল বাড়িতে এসে মারধরের বিষয়টি স্থানীয় বন্ধুদের জানান। পরে রাত আটটার দিকে শহিদুলের বন্ধু তারেক, হেলাল, সাজ্জাদসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে জুয়েলকে ধরতে খোর্দ্দ কেঁওচিয়ার নুনুরবাপের হাটের মাঝেরপাড়ায় যান। এ সময় জুয়েল, মিনহাজ, মনিরসহ ছয়-সাতজন মিলে তারেক, হেলাল ও সাজ্জাদকে আটকিয়ে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে আহত তরুণদের পরিবারের লোকজন এসে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তাঁদের কেরানীহাটের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তারেককে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্য দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত তারেকের বড় ভাই মোহাম্মদ খোকন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জুয়েল, মিনহাজসহ কয়েকজন আমার ভাইসহ অন্যদের আটকিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। ওই হামলায় ছোট ভাই মারা গেছে। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তারেকের পায়ে ও ঊরুতে গুরুতর জখমের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, অধিক রক্তক্ষরণে তারেকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মনিরসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।