বন্ধের নির্দেশের পরও ক্লিনিক চালু, অবশেষে সিলগালা

প্রতীকী ছবি

অনুমোদন না থাকায় দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলা সদরের মেহেরুন্নেসা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবারও ক্লিনিকটির কার্যক্রম শুরু করে কর্তৃপক্ষ। অবশেষে অভিযান চালিয়ে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার বিকেলে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালন করেন হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নুর-এ আলম। পাশাপাশি ক্লিনিকের মালিককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান।

ইউএনও জানান, পৌর শহরের হিলি সিপি রোড এলাকায় অনুমোদনহীন ও অবৈধ উপায়ে মেহেরুন্নেসা ক্লিনিকটি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। বৈধতা না থাকায় ক্লিনিকটিকে মেডিকেল অর্ডিন্যান্স ১৯৮২-এর ১৩ (২) ধার অনুযায়ী মালিককে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু যন্ত্রপাতি জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ল্যাব টেকনিশিয়ান সাদ্দাম হোসেনেকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তৌহিদ আল হাসান জানান, হাকিমপুর উপজেলায় মোট পাঁচটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং একটি ক্লিনিক ছিল। বৈধতা না থাকায় তিন মাস আগে চারটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মেহেরুন্নেসা ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ২ সপ্তাহ ধরে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করে ক্লিনিকটি। চিকিৎসার বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর হওয়ায় এবার প্রতিষ্ঠানটিকে সিলগালা করাসহ যন্ত্রপাতিগুলো জব্দ করা হয়েছে।