বন্যায় ডুবে গেছে রেললাইন, নেত্রকোনায় ট্রেন চলাচল বন্ধ

বন্যার পানিতে শ্যামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ রেলপথের ইসলামপুর এলাকায় একটি বক্স সেতু ভেঙে গেছে
ছবি: প্রথম আলো

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের বন্যায় রেললাইন ডুবে যাওয়ায় নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে মোহনগঞ্জ রেলস্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আজ শনিবার সকাল আটটার পর থেকে এই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে মোহনগঞ্জ স্টেশনে হাওর এক্সপ্রেস ও বারহাট্টা স্টেশনে ২৬২ নম্বর লোকাল ডাউন ট্রেন আটকা পড়ে আছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বারহাট্টা স্টেশনের স্টেশনমাস্টার গোলাম রব্বানী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বন্যার পানিতে শ্যামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ রেলপথের ইসলামপুর এলাকায় একটি বক্স সেতু ভেঙে গেছে। এ ছাড়া কয়েকটি স্থানের রেললাইন বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। তাই ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লোকাল ট্রেনটি বারহাট্টা থেকে ঘুরিয়ে ময়মনসিংহ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

এদিকে নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। এর মধ্যে কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, মোহনগঞ্জ, মদন, খালিয়াজুরিসহ ৬টি উপজেলায় প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। এসব উপজেলার প্রায় ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দী। জেলার সঙ্গে কলমাকান্দা উপজেলার সড়কপথে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

রেললাইন ডুবে যাওয়া ও সেতু ভেঙে যাওয়ায় শ্যামগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে মোহনগঞ্জ রেলস্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, জেলার ৬টি উপজেলায় ১৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার মানুষ ঠাঁই নিয়েছে। বন্যাকবলিত প্রতিটি উপজেলায় মেডিকেল দল নিয়োজিত। জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন এনজিও, স্বেচ্ছাসেবীসহ প্রশাসনের সহায়তায় বন্যাকবলিত মানুষ ও তাদের গবাদিপশুদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হচ্ছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় ইতিমধ্যে দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বন্যাকবলিত ব্যক্তিদের জন্য ৬০ মেট্রিকটন জিআর চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।