বর আসবেন হাতিতে চড়ে, সেই আয়োজন পণ্ড

বরযাত্রার জন্য আনা হাতির সঙ্গে সেলফি। বুধবার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জোতমোরা গ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

বর আসবেন হাতিতে চড়ে। কনেও তৈরি। বাড়িতে ব্যাপক আয়োজন। এমন সময় কনের বাড়িতে পুলিশের হানা। পণ্ড হয়ে গেল বাল্যবিবাহের আয়োজন। বরের বাড়ি থেকে ফিরে গেল হাতিও। আজ বুধবার এ ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান ভেঙে দিয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, কনে নবম শ্রেণির ছাত্রী। মাসখানেক আগে একই ইউনিয়নের জোতমোরা গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু তখন অনুষ্ঠান করা হয়নি। আজ দুপুরে কনের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আত্মীয়স্বজনে ভরে যায় বাড়ি। বরকে আনতে পাঠানো হয় হাতি। কিন্তু বিকেলে কনের বাড়িতে পুলিশ গিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেয়। তখন বরের বাড়ি থেকেও হাতি ফেরত পাঠানো হয়।

গোটানো হচ্ছে বিয়ের প্যান্ডেল। আজ বুধবার কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নে
ছবি: সংগৃহীত

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কনের এক চাচা বলেন, ‘কনের বাবার একটাই মেয়ে। বাবা শখ করে বর আনতে ১২ হাজার টাকা খরচ করে হাতি ভাড়া করেন। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের পরিবারের সঙ্গে শত্রুতা থাকায় তাঁদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাই খবর পেয়ে পুলিশ অনুষ্ঠান ভেঙে দিয়েছে।’

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল আলম বলেন, ‘উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি, আমার এলাকায় বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠান হচ্ছে। তাঁদের (কনের পরিবার) সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। দাওয়াত দিক আর না দিক, বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠানে আমি কোনো দিনও যাই না।’

মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফেরদৌস নাজনীন বললেন, কাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে কথা বলে বাল্যবিবাহের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্রবস্থা নেওয়া হবে।