বরকে রেখে পালিয়ে গেল কনের পরিবার, ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড

বাল্যবিবাহের প্রতীকী ছবি

বাল্যবিবাহের পর কনেকে তুলে নিতে কনের বাড়িতে এসেছিলেন বর। তাঁর সঙ্গে এসেছিল বরযাত্রীও। আয়োজন চলছিল কনেকে তাঁদের সঙ্গে গাড়িতে উঠিয়ে দেওয়ার। এ সময় ওই বাড়িতে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় কনেসহ তার পরিবারের সদস্যরা। পরে আদালত বিছানায় বসা বরকে আটক করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।

ফরিদপুরের সদরপুরের ঘটনা এটি। উপজেলা সদরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে গত ৬ আগস্ট বিয়ে হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে আয়োজন চলছিল কনেকে তুলে নেওয়ার। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার একটি গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল চন্দ্র শীল।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, কনের বয়স ১৩ বছর। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। গত ৬ আগস্ট এ বিয়ে সম্পন্ন হয়। আজ কনেকে শ্বশুরবাড়িতে তুলে দেওয়ার দিন ধার্য ছিল।

আদালত সূত্র আরও জানায়, ওই কিশোরীর বয়স বাড়িয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ খবর পেয়ে আদালত আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কিশোরীর বাড়িতে অভিযান চালান। কিন্তু আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।

পরে আদালত কিশোরীর ঘরের বিছানায় বসা বরকে বাল্যবিবাহের দায়ে আটক করে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল চন্দ্র শীল বলেন, কিশোরীকে বিয়ে করার অপরাধে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৭ (১)-এর ধারায় বরকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।