বরগুনায় করোনায় মারা যাওয়া এএসআইয়ের পরিবার পেল নতুন ঘর

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পুলিশের এএসআই আবদুল খালেকের পরিবারকে নতুন ঘর উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। বেতাগী থানার কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বৃহস্পতিবার নতুন ঘরের চাবি নিহতের পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেন
ছবি: প্রথম আলো

১৬ বছর পুলিশে চাকরি করেও দালান বা পাকা বাড়ি দূরের কথা, পুরোনো বাড়িঘর মজবুত করে মেরামতই করতে পারেননি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খালেক (৩৬)। ঢাকার মিরপুর পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কর্মরত এই পুলিশ কর্মকর্তা ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এই অবস্থায় তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন স্ত্রী ফাতিমা বেগম। এমন মানবেতর পরিস্থিতি জানার পর বরগুনার তখনকার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন নিহত এএসআই খালেকের পরিবারের জন্য একটা ছোট বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার কথা দেন। সেই স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হয়েছে খালেকের পরিবারের। বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে খালেকের পরিবারকে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি টিনশেড পাকাঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু খালেকের পরিবারের হাতে নবনির্মিত বাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পুলিশের এএসআই আবদুল খালেকের পরিবারকে নতুন ঘর উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন
ছবি: প্রথম আলো

নিহত আবদুল খালেক ২০০৪ সালে কনস্টেবল পদে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। এরপর সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে পদোন্নতি পান। তাঁর স্ত্রী ফাতিমা বেগম বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ি। এই দুরবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে বাংলাদেশ পুলিশ উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ঈদের আগেই আমার ঘরে ঈদের আনন্দ বইছে। আমার সন্তানের নিয়ে নিরাপদে স্বস্তির ঘুম ঘুমাব।’

বেতাগী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঢাকার মিরপুর পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কর্মরত অবস্থায় আবদুল খালেক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁদের বাসযোগ্য ভালো বাড়িও ছিল না। তাঁদের দুরবস্থা দেখে বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।