বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবি: আরও দুজনের লাশ উদ্ধার

শনিবার লাশ উদ্ধারের পর এই নৌকায় করে আনা হয়
সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মেঘনা নদীতে বরযাত্রীবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভোলার মনপুরা এলাকার মেঘনা থেকে এক নারী ও গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হাতিয়ার মেঘনার চর গজারিয়া এলাকা থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হলো। এখনো নিখোঁজ আছেন পাঁচজন। লাশ উদ্ধার হওয়া দুজনের নাম জাকিয়া বেগম (৫৫) ও এক বছর বয়সী নিহা আক্তার। এর আগে শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার টাংকিরঘাটের পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার লেফটেন্যান্ট তাহসিনুর রহমান বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আটজনের মধ্যে গত দুদিনে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো চার-পাঁচ দিন আগের হওয়ায় অনেকটা পচে, ফুলে বিকৃত হয়ে গেছে।

জাকিয়া বেগমের মেয়ের জামাই নাজিম উদ্দিন বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তাঁর শাশুড়ির লাশ আজ শনিবার সকালে ভোলার মনপুরা এলাকায় পাওয়া গেছে। স্বজনেরা লাশটি শনাক্ত করেছেন। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার উদ্ধার হওয়া তাঁর শ্যালক আবদুল কাদেরের ছেলে হাসানের লাশ রাতে দাফন করা হয়েছে। এখনো তাঁর শ্যালকের এক মেয়ে ও শ্যালিকার এক মেয়ে নিখোঁজ আছে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের চানন্দিঘাট থেকে কনেসহ বরযাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ভোলার মনপুরা এলাকার মেঘনার ঢালচরে যাওয়ার পথে চেয়ারম্যান ঘাটের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে নদীতে জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে উল্টে যায়। এতে ট্রলারে থাকা বর-কনেসহ অর্ধশতাধিক যাত্রী নদীতে পড়ে যান। পরে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় ৪০ জনকে জীবিত ও কনেসহ সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আর গত দুদিনে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।