বরিশাল নগর যুবদল সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জনকে বহিষ্কার

বরিশালে  যুবদলের সভায়  হামলা ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে বরিশাল নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান মামুনসহ ছয় নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান  স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এ বিষয়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা কামরুজ্জামান জানান, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যুবদলের কেন্দ্রীয় কাযনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্তে সংগঠন থেকে যুবদলের ওই ছয় নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন ইতিমধ্যে এই আদেশ কার্যকর করেছেন।

বহিষ্কৃত অপর পাঁচ যুবদল নেতা  হলেন বরিশাল নগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাহাত, সহসাধারণ সম্পাদক সহদেব শর্মা ও আল আমিন, দপ্তর সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক বশির আহম্মেদ।

বরিশাল জেলা ও নগর যুবদলের কয়েকজন নেতা জানান, যুবদলের আসন্ন কর্মীসভা উপলক্ষে গত শুক্রবার রাতে নগরীর সদর রোড–সংলগ্ন অশ্বিনী কুমার টাউনহল–সংলগ্ন বিএনপি কার্যালয়ে প্রস্তুতিসভার আয়োজন করে নগর যুবদল। রাত নয়টার দিকে সভা চলাকালে নগর যুবদলের সম্পাদক মাসুদ হাসান এবং যুগ্ম সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের মধ্যে কথা–কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর সভার মধ্যেই মাসুদ হাসানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত বশির, তরিকুল ইসলাম, রাহাতসহ কয়েকজন হট্টগোল শুরু করেন। তাঁরা সেখানে থাকা চেয়ার ছুড়ে মারেন মাজহারুল ইসলামের দিকে। এতে আহত হন তিনি।

সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জানান, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি জানতে পেরে তাঁদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছেন। বহিষ্কৃত নেতা–কর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল নগর বিএনপি সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারী।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বরিশাল নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান বলেন, ‘শুক্রবারের ওই ঘটনার সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। এমনকি ওই ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা এবং এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততাও নেই। এরপরও কী কারণে সংগঠন আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের  ব্যবস্থা নিয়েছে তা বুঝতে পারছি না।’