বরিশাল বিভাগে করোনা ও উপসর্গে ১২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫০

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২ জন এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ৩৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫০ জনের। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে বিভাগে শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ঈদের ছুটির কারণে চার দিন ধরে এই বিভাগে নমুনা সংগ্রহ কম হচ্ছে। ফলে শনাক্তের সংখ্যাও কম।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগে করোনায় ৭ জনের এবং উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। একই সময়ে ৪৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, নতুন শনাক্ত ১৫০ জনের মধ্যে বরিশাল জেলায় সর্বোচ্চ ৭৬ জন নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ২৯ জন। এ ছাড়া পটুয়াখালীতে ১১ জন নিয়ে ৩ হাজার ৪৫৩ জন, ভোলায় ৪১ জনসহ ২ হাজার ৮৬৭ জন, পিরোজপুরে নতুন ১৬ জনসহ ৩ হাজার ৮৭১ জন, বরগুনায় ১ জন নিয়ে ২ হাজার ৩৮৮ জন এবং ঝালকাঠিতে ৫ জন শনাক্ত নিয়ে মোট ৩ হাজার ৫৩৭ জন করোনা রোগী রয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ১৪৫।

২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন ২ জন। তাঁরা বরিশাল ও পিরোজপুরের। এ নিয়ে বিভাগে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন ৪১৬ জন। উপসর্গ নিয়ে ১০ জন মারা যান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশনে। এ নিয়ে এই হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৭২০ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বরিশাল বিভাগে জুলাইয়ের প্রথম থেকেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়। এখনো তা অব্যাহত আছে। ঈদের ছুটি থাকায় চার দিন ধরে নমুনা সংগ্রহ কম হচ্ছে, এতে পরীক্ষাও কম হয়েছে। তবে শনাক্ত ও মৃত্যুহার দুটিই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে সংক্রমণের হার ৪০–এর কাছাকাছি। সে ক্ষেত্রে বোঝা যাচ্ছে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এখনো অব্যাহত আছে।