বরিশাল বিভাগে করোনায় ১৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৪৯

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি

বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৪০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। ঈদের ছুটির কারণে গত দুই দিন বিভাগে কম নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ৭৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। শনাক্ত হার ছিল ৩৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আর আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা যান ১৬ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বরিশাল বিভাগে জুলাইয়ের প্রথম থেকেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। ঈদের ছুটি থাকায় দুদিন ধরে নমুনা সংগ্রহ কম হয়েছে, এতে পরীক্ষাও কম হয়েছে। এ কারণে শনাক্তের সংখ্যা কম। এটাকে ইতিবাচক বা সংক্রমণ কমে গেছে, এমনটা মনে করা যাবে না।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, নতুন শনাক্ত ১৪৯ জনের মধ্যে বরিশাল জেলার ৯৭ জন, পটুয়াখালীতে ২, ভোলায় ২০, পিরোজপুরে ২১, বরগুনায় ৯। ঝালকাঠিতে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। বিভাগে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭ হাজার ৮১২।

বিভাগে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৪০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আটজন করোনা পজিটিভ ও ছয়জনের উপসর্গ ছিল। পজিটিভ হয়ে মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে তিনজনই বরগুনা জেলার।

এ ছাড়া, পিরোজপুরে দুজন এবং বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালীতে একজন করে রয়েছেন। আর উপসর্গে মারা যাওয়া ছয়জন বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।

গত মে মাসে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর বিভাগের তিন জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠিতে সংক্রমণ ও মৃত্যুহার বেশি থাকলেও এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ বাড়ছে বরগুনায়।

১৩ জুলাই থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই জেলায় ১০ দিনে করোনা পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন ১৭ জন আর রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪৮০। শনাক্তের হার ৩৬ শতাংশ, যা বিভাগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শনাক্তের হার। সবচেয়ে বেশি বরিশাল জেলায়, ৪৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।