বরিশাল বিভাগে কোয়ারেন্টিন শেষে ছাড়পত্র ১৫১৪ জনকে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে (বাড়িতে পৃথক কক্ষে) থাকা ১ হাজার ৫১৪ ব্যক্তি ইতিমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদের অধিকাংশই বিদেশফেরত। এর মধ্যে আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

করোনা আক্রান্ত সন্দেহভাজন এসব ব্যক্তি ১৪ দিন বাড়িতে অবস্থান করার পর তাঁদের কোনো প্রকার অসুস্থতা বা করোনা উপসর্গ দেখা না দেওয়ায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্র জানায়, ১০ মার্চ থেকে আজ সোমবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় ২ হাজার ৮২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫১৪ জন ১৪ দিনের নির্ধারিত হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন। এই ব্যক্তিরা সবাই সুস্থ আছেন। এটি নিশ্চিত হওয়ার পর স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিভাগের বরগুনা জেলায় হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকা তিন ব্যক্তিকেও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম মিলিয়ে এ পর্যন্ত বিভাগে ১ হাজার ৫১৪ জনকে কোয়ারেন্টিন শেষ করার ছাড়পত্র দেওয়া হলো।

অপরদিকে গতকাল রোববার থেকে আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলায় কাউকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়নি। বাকি তিন জেলায় (বরিশাল, ভোলা ও পিরোজপুর) নতুন করে ১৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এর বাইরে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচজন ও ভোলায় একজন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস বলেন, করোনাভাইরাস সন্দেহে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে রোগী ভর্তি করা হলেও বিভাগে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোববার সকালে করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।

এদিকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় নির্দিষ্ট কিছু বিদ্যালয়কে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব কোয়ারেন্টিনে সন্দেহভাজন রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখা ও জরুরি প্রয়োজন হলে চিকিৎসা দেওয়ার কাজটি করা হবে।