বরিশালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে আরও এক রোগীর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আরও এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় এই বিভাগে নার্সসহ নতুন করে সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৪ জনে। 

হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভোলার চরফ্যাশনের ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি গতকাল বুধবার রাত ১০ টার দিকে মারা যান। তিনি শ্বাসকষ্ট, জ্বর উপসর্গ নিয়ে গতকাল রাত নয়টার দিকে হাসপাতালের করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য তৈরি আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে এই ওয়ার্ডে নয়জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে একজনের কোভিড–১৯ শনাক্ত হয়।বাকিরা করোনাভাইরাসের ‍উপসর্গ নিযে মারা যান।


হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল রাত নয়টার দিকে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন ভোলার চরফ্যাশনের ৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি। ঘন্টাখানিক পর রাত ১০ টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।


এদিকে বরিশালে আরও একজন নার্স আক্রান্ত হয়েছেন। গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই নার্সসহ ২৪ ঘন্টায় বিভাগে নতুন করে আ্রক্রান্ত হয়েছেন পাঁচজন। এর আগে গত মঙ্গলবার বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের এক নার্সসহ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সাতজনের করোনাভাইরাম শনাক্ত হয়। এ নিয়ে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৪৪ জনে। এর মধ্যে ২৪ জন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী। এই ২৪ জনের মধ্যে ১১ জন চিকিৎসক ও সাতজন নার্স রয়েছেন।


আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বরিশালে। এই জেলায় নতুন তিনজনসহ আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন। এরপর বরগুনা। এখানে নতুন আক্রান্ত একজনসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ জন। পটুয়াখালীতে নতুন দুজনসহ আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ জন। এ ছাড়া পিরোজপুরে নতুন একজনসহ ১১ জন, ঝালকাঠিতে ১৪ জন এবং ভোলায় পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশালে ২৫ জন, বরগুনায় ১৪ জন, পটুয়াখালীতে চারজন, ঝালকাঠিতে দুজন ও পিরোজপুরে একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, 'তিন জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা ছিল। তবে গেল এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে আসায় অনেকটা স্বস্তি মিলেছে। তারপরও আমরা এই তিন জেলার ওপর বিশেষ নজর রাখছি।'
স্বাস্থ্য কর্মীদের আক্রান্তের বিষয়টি উদ্বেগজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা পর্যালোচন করে যত দূর জানতে পেরেছি, হাসপাতালে রোগীদের তথ্য গোপন করা একটি বড় কারণ। এ জন্য আমরা প্রতিটি হাসপাতালে চিকিৎসক ও অন্যদের আরও সতর্ক হওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছি।'