বরিশালে আবার চালু হলো ‘মানবতার বাজার’

বাসদ বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ করতে আবার চালু করা হয়েছে ‌‌'মানবতার বাজার'। বৃহস্পতিবার বরিশাল নগরের অমৃত লাল দে কলেজ মাঠে
ছবি: প্রথম আলো

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে বরিশাল নগরে কাজ হারানো দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আবারও বিনা মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করতে ‘মানবতার বাজার’ চালু করেছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। গত বছর করোনা পরিস্থিতি শুরু হলে ‘মানবতার বাজার’ নামে কার্যক্রমটি সারা দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

এবারও একইভাবে চাল, ডাল, তেল, আলু, আটা, চিনি, দুধ, সেমাই, শাকসবজি, শিশুখাদ্যসহ ১০ ধরনের পণ্য বিনা মূল্যে হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার উদ্বোধনী দিনে ৩০০ রিকশাশ্রমিককে ‘মানবতার বাজার’ থেকে নিত্যপণ্য সরবরাহ করা হয়েছে।

সকাল ১০টার দিকে নগরের অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই বাজার চালু করা হয়। বাজারের উদ্বোধন করেন বাসদের বরিশাল জেলা আহ্বায়ক ইমরান হাবিব ও সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী। করোনাসহ জরুরি রোগীদের বিনা পয়সায় অ্যাম্বুলেন্স সেবা, অক্সিজেন ব্যাংকসহ নানাভাবে সহায়তা কার্যক্রম চালাচ্ছেন মনীষা ও তাঁর দল।

উদ্যোক্তারা জানান, গরিব ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে বাছাই করে তাঁদের একটি করে রেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে। ওই কার্ডের মাধ্যমে এসব পরিবার এই বাজার থেকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে নিত্যপণ্য বিনা পয়সায় নিতে পারবে।

বাসদের বরিশাল জেলা শাখার সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ‘লকডাউনের কারণে খেটে খাওয়া মানুষ বেশ অসহায় হয়ে পড়েছে। এসব মানুষ যাতে হাসিমুখে ঈদ পালন করতে পারে, সে জন্য পুনরায় মানবতার বাজার চালু করা হয়েছে। এই দুর্দিনে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সারা দেশেই বাসদের পক্ষ থেকে এ ধরনের নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।’

বাসদের জেলা আহ্বায়ক ইমরান হাবিব বলেন, একটি পরিবারে যা কিছু প্রয়োজন, তার বেশির ভাগ পণ্যই এই বাজারে রাখা হয়েছে। আজ প্রথম দিনে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, দুধ, সেমাই, বিভিন্ন সবজি, শিশুদের খাবার ও জরুরি ওষুধ ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই আরও নতুন নতুন পণ্য মানবতার বাজারে যুক্ত করা হবে। আর্থিক সামর্থ্য ও পরিবারের সদস্যসংখ্যা বিচার করে প্রতিটি পরিবারকে একটি রেশন বই সরবরাহ করা হয়েছে। যেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। এই পয়েন্ট দিয়ে ওই পরিবার বিনা মূল্যে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার বাজার করতে পারবেন।

গত বছর মানবতার বাজার থেকে নগরের পাঁচ হাজারের বেশি পরিবারকে বিনা মূল্যে নিত্যপণ্য সরবরাহ করা হয়েছিল।