বরিশালে কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে রাস্তাঘাট ফাঁকা

বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে দূরপাল্লার বাসগুলো ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। সেগুলো আটকে দেওয়া হয় পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে। আজ সকালে বরিশালের বাবুগঞ্জ এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে।
ছবি: প্রথম আলো

করোনা পরিস্থিতিতে ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে বরিশালে রাস্তাঘাট সকাল থেকেই ছিল ফাঁকা; যানবাহনের চলাচল ছিল হাতেগোনা। অবশ্য বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে দূরপাল্লার বেশ কয়েকটি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। সেগুলো আটকে দেওয়া হয় বাবুগঞ্জ এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বসানো তল্লাশিচৌকিতে। পুলিশ বাসগুলো আবার বরিশালে ফেরত পাঠায়।

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত লঞ্চ ও বাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বরিশালে আসা মানুষজন স্বচ্ছন্দেই বাড়িতে ফিরতে পেরেছেন। কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়েছে সকাল আটটার পর থেকে। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় এমনিতেই নগরের রাস্তাঘাটে মানুষজনের চলাচল কম ছিল। তার ওপর কঠোর বিধিনিষেধের কারণে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা ছিল। ওষুধ এবং খাদ্যপণ্যের দোকান ছাড়া সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে নগরে তিনটি পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও কঠোর অবস্থান চোখে পড়ে।

নগরের রাস্তাগুলোয় কিছু রিকশা, মোটরসাইকেল এবং ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। বন্ধ রয়েছে নগরের বেশির ভাগ দোকানপাট। সকালের দিকে নগরের বাজারঘাটগুলোয় কিছুটা ভিড় থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাঁকা হয়ে যায়। ওষুধ এবং খাদ্যপণ্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। তবে পাড়া–মহল্লায় কিছু চায়ের দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সুব্রত বিশ্বাস দাস বলেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে শুক্রবার সকালে নগরে পৃথক তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে। বিধিনিষেধ এবং স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

এদিকে বিধিনিষেধ অমান্য করে দূরপাল্লার বেশ কয়েকটি বাস যাত্রী নিয়ে সকালে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। সেগুলো সকাল ৯টার দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলার রাকুদিয়া নতুনহাট নামক স্থানে পৌঁছায়।

বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, ওই স্থানে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে আগে থেকেই তল্লাশিচৌকি বসিয়েছিল পুলিশ। সেখানে বাসগুলো আটকানো হয়। এরপর বরিশালে ফেরত পাঠানো হয়।