বরিশালে করোনা ল্যাব পরীক্ষামূলকভাবে চালু

প্রতীকী  ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার গবেষণাগার (ল্যাব) স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার সকালে পিসিআর (পলিমিয়ার্স চেইন রিঅ্যাকশন) যন্ত্রটি স্থাপনের কাজ শেষ হওয়ার পর পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়।

মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের দ্বিতীয় তলায় এই ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একজনের নমুনা পরীক্ষা করে ল্যাবের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হলো। এটি পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ শুরু করতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বুধবার বেলা ১১টায় দোয়া-মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এই গবেষণাগারের কার্যক্রম শুরু হয়। বরিশাল সদর আসনের সাংসদ পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব) জা‌হিদ ফারুক এতে অংশ নেন। মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অসিত ভূষণ দাস, হাসপাতালের পরিচালক মো. বাকির হোসেনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দোয়া-মোনাজাত শেষে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গবেষণাগারটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে জাহিদ ফারুক সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এ সময় তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ল্যাবটি অবশেষে চালু হলো। বরিশালবাসীর পক্ষ থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাস

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ থেকে এই ল্যাবের অদক্ষ টেক‌নোল‌জিস্টদের প্রশিক্ষণ ও ক‌রোনাভাইরাস পরীক্ষা কার্যক্রম একই সঙ্গে চলবে। এখানে একদিনে ৯৪জ‌নের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হ‌বে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টেক‌নোল‌জিস্টরা এখানকার টেক‌নোল‌জিস্টদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। শনিবারের মধ্যে পটুয়াখালী থেকে একজন চিকিৎসক এই গবেষণাগারে যোগদান করবেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, বরিশালে করোনা পরীক্ষার এই গবেষণাগারের বায়োসেফটি লেভেল (বিএসএল) ২ পর্যায়ের। গবেষণাগার স্থাপন করা হলেও এখানে ভাইরোলজিস্ট না নেই। কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের দুজন চিকিৎসক গবেষণাগারটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চালাবেন। এ ছাড়া পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একজন সহযোগী অধ্যাপককে বদলি করে এখানে আনা হচ্ছে। পাশাপাশি পাঁচজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দায়িত্ব পালন করবেন। পূর্ব-অভিজ্ঞতা না থাকা এসব ব্যক্তিদের ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেবেন।

অধ্যক্ষ অসিত ভূষণ দাস বলেন, বরিশাল অঞ্চলের সব জেলা, উপজেলায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে এখানে পরীক্ষা করা যাবে। এখন আর নমুনা নিয়ে ঢাকায় নিতে হবে না। ফলে কম সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।