বরিশালে প্রতিপক্ষের হামলা, আহতরা চিকিৎসা নিতে গেলে আবার হামলা

হামলা
প্রতীকী ছবি

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ব্যক্তিরা হাসপাতালে গেলে সেখানে তাঁদের ওপর আরেক দফা হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে অবস্থানরত কয়েকজন দর্শনার্থীকেও মারধরের ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার বিকেলে এই হামলার ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্য কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

হাসপাতালের দায়িত্বরত ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিক্ষের হামলায় আহত খালাসীরচর গ্রামের এমদাদুল ব্যাপারী, তাঁর ভাই ইউনুস আলী ব্যাপারী ও তাঁদের স্বজন শিফা বেগমকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা চলার সময় প্রতিপক্ষের রাকিব ব্যাপারী ও তাঁর লোকজন রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে হামলা চালান। এ সময় ধারালো দায়ের আঘাতে এমদাদুলের হাতের রগ কেটে যায়। লাঠির আঘাতে আহত হন এমদাদুলের বাবা সেকান্দার ব্যাপারী ও শিফা বেগম। হামলাকারীরা হাসপাতালের কয়েকজন দর্শনার্থীকেও মারধর করেন। দুই দফায় হামলার ঘটনায় আহত চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহত সেকান্দার ব্যাপারীর ভাষ্য, একই এলাকার আলতাফ ব্যাপারীর সঙ্গে জমি নিয়ে তাঁর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে কয়েক দফা সালিস হয়েছে। গতকাল দিনভর সালিস শেষে সালিসকারীরা জমির সীমানা নির্ধারণ করতে শুরু করেন। সীমানা পিলার স্থাপনের সময় আলতাফ ব্যাপারী ও তাঁর ছেলে রাকিব ব্যাপারীর নেতৃত্বে তাঁদের সহযোগীরা লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে তিনি (সেকান্দার), তাঁর ছেলে এমদাদুল এবং তাঁর স্বজন ইউনুস ও শিফা বেগম আহত হন। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের আহত অবস্থায় মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর সেখানে গিয়েও তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়।

মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইয়েতুর রহমান বলেন, জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় আহত কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হতে এলে জরুরি বিভাগে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করেন। হামলার কারণে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে থানায় খবর দিলে হামলাকারীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, হাসপাতালে হামলার খবর পেয়েই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই হামলাকরীরা পালিয়ে যান। আহত ব্যক্তিদের থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।