বরিশালে হলো মুজিব বর্ষের মানব লোগো

বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে মুজিব বর্ষের বিশাল আকৃতির মানব লোগো তৈরিতে অংশ নেন হাজারো মানুষ।প্রথম আলো

বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের বিশাল আকৃতির মানব লোগো প্রদর্শিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এ প্রদর্শনীতে অংশ নেন হাজারো মানুষ।

বিকেল সাড়ে চারটায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এ সময় তিনি বলেন, ‘জাতির জনকের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ মানব লোগোর আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা এবং তাঁর প্রদর্শিত পথে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে আহ্বান করেছি।’

প্রায় ২ লাখ বর্গফুট আয়তনের ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবন্ধু উদ্যানের ১ লাখ ৫৮ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগোটি প্রদর্শন করা হয়। এতে অংশ নেন ৯ হাজার ৪০৮ জন। তাঁরা সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৪০৮টি কাঠের ফ্রেম মাথার ওপরে তুলে ধরেন। এতে ফুটে ওঠে বঙ্গবন্ধুর চেহারা, বাংলায় ‘মুজিব শতবর্ষ’ ও ইংরেজিতে ‘Mujib 100’ লেখা। এ কাজে সহায়তার জন্য মাঠের চারপাশে প্রস্তুত ছিলেন আরও ২ হাজার ৫৯২ জন। আয়োজকদের দাবি, এটিই বিশ্বের সর্ববৃহৎ মানব লোগো।

আয়োজকদের দেওয়া তথ্যমতে, মানব লোগোটি ছিল ১ হাজার ৩৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১ হাজার ৮০০ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট। এতে বঙ্গবন্ধুর চশমার ফ্রেমের জন্যই লাগে ২ হাজার ৪০০ বর্গফুট জায়গা। এ ছাড়া ৪৮ বর্গফুট জায়গাজুড়ে বঙ্গবন্ধুর বাঁ গালের তিলক এবং ১ হাজার ৯২০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে মুজিবকোট ফুটিয়ে তোলা হয়।

মানব লোগো প্রদর্শনের জন্য এক মাস ধরে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রস্তুতি চলে। আজ দুপুরে শুরু হয় প্রদর্শনীর মহড়া। বিকেল সাড়ে চারটায় মানব লোগো প্রদর্শন করা হয়।
লোগোর প্রস্তুতি কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে থাকা বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মানব লোগো নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ এবং আগ্রহ সৃষ্টি হয়। এ প্রদর্শনী গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিতে পারবে বলে আশা করছেন তাঁরা।