বহিষ্কৃত নেতাকে আ.লীগের মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষোভ

খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান এফ এম অহিদুজ্জামান। তবে প্রধানমন্ত্রী ও খুলনার স্থানীয় সাংসদদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় জুলাই মাসে তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। অহিদুজ্জামান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

দল থেকে বহিষ্কৃত অহিদুজ্জামানকে আবার নৌকা প্রতীক দেওয়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একটি অংশের মধ্যে। আজ রোববার দুপুরে তাঁরা খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অহিদুজ্জামানকে দেওয়া নৌকা প্রতীক প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রকৃত আওয়ামী লীগ পরিবারের কাউকে ওই প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তেরখাদা উপজেলা যুবলীগ সদস্য ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক শেখ শামীম হাসান। এ সময় তিনি বলেন, অহিদুজ্জামান সৌদি আরবে থাকতেন। ২০০৮ সালে এলাকায় ফিরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। কয়েক বছর পর তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ পান। ছাত্রলীগ, যুবলীগ না করে সরাসরি আওয়ামী লীগের এত বড় পদ পাওয়ার পেছনে বড় নেতাদের হাত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শামীম হাসান আরও বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ থেকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার জন্য পাঠানো তালিকায় অহিদুজ্জামানের নাম ছিল না। তবে তেরখাদা উপজেলা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। জেলা থেকে কেন্দ্রে নাম না পাঠানো হলেও কীভাবে তাঁকে আবারও মনোনয়ন দেওয়া হলো, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী বলেন, ‘মনোনয়ন তালিকায় অহিদুজ্জামানের নাম আমরা কেন্দ্রে পাঠাইনি। একজন বিতর্কিত ব্যক্তি কীভাবে মনোনয়ন পেলেন, সেটাও আমরা জানি না। পার্লামেন্টারি বোর্ড যেটা ভালো বুঝেছে, সেটাই করেছে।’

এ বিষয়ে এফ এম অহিদুজ্জামান বলেন, কেন্দ্র তাঁর ওপর সন্তুষ্ট বলেই তাঁকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ করেন এবং দলের সুখ-দুঃখের সময় পাশে ছিলেন। আবারও চেয়ারম্যান হয়ে দলের সেই সম্মান ধরে রাখতে জনগণের জন্য কাজ করে যাবেন।’

চলতি বছরের ১৯ জুলাই তেরখাদায় একটি সমাবেশে অহিদুজ্জামান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। এরপর ২৬ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশও করা হয়। ওই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছিলেন অহিদুজ্জামান।