বাংলাদেশি অধ্যাপকের আইইইইর সম্মাননা অর্জন

নাসির উদ্দিন
সংগৃহীত

কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন তড়িৎ কৌশল বিভাগের ফেলো হিসেবে সম্মান অর্জন করেছেন। গত ২৪ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইইই) তাঁকে ফেলো মনোনীত করে। কারিগরি ও পেশাজীবীদের সংগঠন আইইইই থেকে গতকাল শুক্রবার তিনি এই সম্মাননা ও সনদ হাতে পান।

নাসির উদ্দিন কানাডার লেকহেড বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক। বৈদ্যুতিক মোটরের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ ও অবচয় রোধের কৌশল আবিষ্কারের জন্য তাঁকে ওই সম্মানে ভূষিত করা হয়।

আজ শনিবার অধ্যাপক নাসির উদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৈদ্যুতিক প্রকৌশলের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান আমাকে বিবেচিত করায় খুব সম্মানিত বোধ করছি। আমার সহকর্মী ও পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দেশবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।’

আইইইই পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ পেশাজীবী সংগঠন। ১৬০টি দেশে এ সংগঠনের কার্যক্রম বিস্তৃত। সংগঠনটির সদস্য সাড়ে তিন লাখের বেশি।

নাসির উদ্দিনের বাড়ি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার গোহাইলবাড়ি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আরশেদ আলী মণ্ডল। চার বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে নাসির দ্বিতীয়। স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তিনি কানাডার অন্টারিওর ব্যারি শহরে বাস করেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ছোটবেলা থেকেই নাসির অত্যন্ত মেধাবী। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি প্রথম বিভাগে পাস করেন। পরে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎকৌশল বিভাগে। সেখান থেকে ১৯৯৩ সালে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। পরে বুয়েটেই তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন।

কমনওয়েলথের বৃত্তি পেয়ে নাসির কানাডা যান। কানাডার মেমোরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০০ সালে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১০ সালে তিনি লেকহেড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা গবেষকের স্বীকৃতি অর্জন করেন। একই বছর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘মোটর মাস্টার’ উপাধিতে ভূষিত করে। বিশ্বের বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

অধ্যাপক নাসির উদ্দিনের বড় বোন বালিয়াকান্দি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চাঁদ সুলতানা।

চাঁদ সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘নাসিরের এই অর্জনে আমরা খুব খুশি। এটি শুধু আমাদের পরিবার বা এই এলাকার জন্য নয়, পুরো বাংলাদেশের জন্য আনন্দের সংবাদ।’

আইইইই পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ পেশাজীবী সংগঠন। ১৬০টি দেশে এ সংগঠনের কার্যক্রম বিস্তৃত। সংগঠনটির সদস্য সাড়ে তিন লাখের বেশি।