বাংলাদেশে টিকা সরবরাহের সুনির্দিষ্ট তারিখ নেই: বিক্রম দোরাইস্বামী

ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে।
ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, ‘ভারতের পরিস্থিতি আস্তে আস্তে উন্নতি হচ্ছে। আশা করি, (টিকার) উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমরা সামনের দিকে এগোতে সক্ষম হব। আর ভারতে করোনার টিকার জোগান পর্যাপ্ত থাকলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হব। কিন্তু বাংলাদেশ জন্য আমাদের সুনির্দিষ্ট তারিখ নেই। তবে উৎপাদন বাড়ছে। এটি ইতিবাচক।’

আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের শূন্যরেখায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ১৮ জুলাই বিক্রম দোরাইস্বামী আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে সস্ত্রীক ভারতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে তিনি বাংলাদেশে ফিরলেন।

ভারতে টিকা উৎপাদনের বিষয়ে জানার জন্য দেশে গিয়েছিলেন উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রকে টিকার সরবরাহ দিতে অন্যান্য অনেক বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে ভবিষ্যৎ তিনি জানেন না। তাঁরা অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিষয়টি জানাবেন।

বাংলাদেশকে কী পরিমাণ টিকা প্রদান করা হবে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা দ্রুত জানাব।’ বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, করোনার মধ্যে গত এক বছরে তাৎপর্যপূর্ণভাবে দুই দেশের ব্যবসা কার্যক্রম বেড়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে। একইভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রপ্তানি বেড়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো থাকলে করোনার মহামারির মধ্যেও দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা–বাণিজ্য অব্যাহত রাখত পারব।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বড় বড় শহরগুলোতে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। দিল্লিতে প্রতিদিন ৫০ জনের মতো আক্রান্ত হয়। অন্যান্য বড় শহরগুলোতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অনেক জায়গায় সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু উল্লেখ করে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘বাংলাদেশও কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারলে আমরা খুশি হব। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ কঠোর পরিশ্রম করছে, এতে আমি আনন্দিত।’

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুমানা আক্তার, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান, ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. আবদুল হামিদ প্রমুখ।