বাংলাদেশের রবিউলের ব্যবহার আমাকে প্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছে

রবিউল হাসান ও নেইলি আক্তার দম্পতিছবি: প্রথম আলো

প্রেমের টানে মেক্সিকো থেকে বাংলাদেশে আসেন গ্লাডির্স নেইলি টরিবিও মোরালেস (৩২)। ২১ নভেম্বর তিনি বিয়ে করেন জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা গ্রামের রবিউল হাসানকে। ধর্মান্তরিত হওয়ার পর তাঁর নাম হয়েছে নেইলি আক্তার। এত পথ পাড়ি দিয়ে তাঁর ‘বিদেশি বধূ’ হওয়ার গল্প বলেছেন প্রথম আলোকে।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: বাংলাদেশের ছেলে রবিউলের সঙ্গে আপনার পরিচয় কীভাবে?

নেইলি আক্তার: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০১৯ সালে রবিউলের সঙ্গে আমার পরিচয়। তাঁর সঙ্গে ফেসবুকে আমার বন্ধুত্ব হয়। সেই বন্ধুত্ব একসময় প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: তারপর কী হলো...

নেইলি আক্তার: আমাদের প্রেমকে বিয়েতে রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: বাংলাদেশে এলেন বিয়ে করার জন্য?

নেইলি আক্তার: বাংলাদেশের রবিউলের ব্যবহার আমাকে মুগ্ধ করেছে, প্রেমে উদ্বুদ্ধ করেছে। প্রেমের সম্পর্ক গভীর হলে আমি মেক্সিকো থেকে বাংলাদেশে রবিউলের বাড়িতে এসে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলিম হয়ে বিয়ে করেছি।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: এই বিয়েতে আপনার মা–বাবার অনুমতি ছিল?

নেইলি আক্তার: মুসলিম যুবককে আমি ভালোবাসি, এ কথা আগেই আমার মা–বাবাকে বলা ছিল। মা–বাবার অনুমতি নিয়েই আমি ভালোবেসে বিয়ে করেছি। সব সময় মুঠোফোনে মা–বাবার সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। মা–বাবা আমার খোঁজখবর রাখছেন।

প্রশ্ন:

প্রথম আলো: আপনি কি এখন থেকে বাংলাদেশেই থাকবেন?

নেইলি আক্তার: আমার ভিসার মেয়াদ আছে আগামী ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আমি আপাতত একাই দেশে চলে যাব। তিন মাস পর স্বামীর ভিসা হলে আবার সরিষাবাড়ীতে এসে স্বামীকে মেক্সিকোয় নিয়ে যাব। পরে সেখানে পারিবারিকভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হবে। সেখানে দুজনে ব্যবসা করব।