বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ১২ ঘণ্টা পর চলছে ফেরি

ঘন কুয়াশায় প্রায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথের ফেরি চলাচল। আজ সোমবার সকালে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে
প্রথম আলো

প্রায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে শুরু হয়েছে ফেরি চলাচল। ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল রোববার রাত সোয়া ১০টা থেকে আজ সোমবার সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত নৌপথে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিটিসি) ঘাট কর্তৃপক্ষ।

এদিকে দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে আটকা পড়েছে দেড় হাজারের বেশি যানবাহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এই নৌপথে আসা যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকেরা।

আজ সকাল ১০টায় বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় ১২ ঘণ্টা ফেরি না চলায় ঘাটে যানবাহনের প্রচুর চাপ। প্রতিটি সংযোগ সড়ক, টার্মিনাল যানবাহনে ভরা। বাংলাবাজার ঘাটেই তিনটি টার্মিনাল ও সংযোগ সড়কে সাড়ে ছয় শ পণ্যবাহী ট্রাক, শতাধিক যাত্রীবাহী বাস, সাড়ে চার শ ছোট গাড়ি আটকা পড়েছে। শিমুলিয়া ফেরিঘাটেও একই অবস্থা। আটকা পড়া বেশির ভাগ যানবাহন গতকাল রাত ৮টার পর পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে আসে। এখন ফেরি ছাড়লেও এসব আটকা পড়া যানবাহন পারাপার হতে দিন কেটে যাবে।

বিআইডব্লিটিসি ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল রাত ৯টার পর থেকেই ঘাট এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত সোয়া ১০টার দিকে কুয়াশার তীব্রতা বেড়ে যায়। পদ্মা নদী ও চারপাশে প্রচুর কুয়াশা পড়ায় নদীপথে সব ঝাপসা হয়ে আসে। ফলে নৌপথের দিকনির্দেশনামূলক বাতি অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। এ সময় পদ্মা নদীতে দিক নির্ণয়ে ব্যর্থ হয় ফেরিগুলো। নৌপথে সব ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সোয়া ১০টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। এ সময় মাঝ পদ্মায় যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে আটকা পড়ে ৬টি ফেরি। দুর্ঘটনা রোধে ফেরিগুলো নোঙর করে রাখা হয়। পরে আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে কুয়াশার মাত্রা কমে এলে আটকা পড়া ফেরিগুলো ঘাটে পৌঁছায়। এরপরই স্বাভাবিক হয় ফেরি চলাচল।

জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘন কুয়াশা কমে আসায় আমরা ফেরি চলাচল শুরু করেছি। মাঝনদীতে আটকা পড়া ফেরিগুলোও ঘাটে এসেছে। রাত থেকে ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে যানজট বেশি। আমাদের ১৬টি ফেরি সচল আছে। সবগুলো ফেরি ঠিকঠাক চলাচল করলে আটকে পড়া যানবাহনগুলো পর্যায়ক্রমে পারাপার করা হবে।’