বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ৯ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে
ফাইল ছবি প্রথম আলো

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ৯ ঘণ্টা পর শুরু হয়েছে ফেরি চলাচল। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা থেকে শনিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাটে আটকা পড়ে সাত শতাধিক যানবাহন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকেরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টার পর থেকে ঘাট এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার মাত্রাও বাড়তে থাকে। কুয়াশার পরিমাণ ভয়াবহ বেড়ে গেলে নৌপথের দিকনির্দেশনামূলক বাতি অস্পষ্ট হয়ে আসে। এ সময় পদ্মা নদীতে দিক নির্ণয়ে ব্যর্থ হয় ফেরিগুলো। দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ২টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ সময় চলাচলরত সাতটি ফেরি পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে। পরে ৯ ঘণ্টা পর কুয়াশা কমে এলে আটকে পড়া ফেরিগুলো ঘাটে এসে পৌঁছায়। একই কারণে শনিবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলও বন্ধ ছিল।

ঘাটে আটকা পড়া যাত্রী কাশেম ব্যাপারী বলেন, ‘বরিশাল থেকে রাতের গাড়িতে ঢাকা যাওয়ার জন্য উঠেছি। রাত ৩টার সময় বাস ঘাটে এসে লাইনে আটকা পড়ে। তারপর টানা ৮ ঘণ্টা বাসের মধ্যে। একদিকে তীব্র শীত, অন্যদিকে দুর্ভোগ।’

আজ সকাল ৭টায় ঘাটে আসেন ঢাকাগামী আরেক যাত্রী কবির হোসেন। তিনি বলেন, কুয়াশার কারণে কোনো নৌযান চলছিল না। ঘাটে যানবাহনের সঙ্গে মানুষের চাপ বেড়েই চলছিল। পরে ১০টার দিকে ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ে। তখন লঞ্চে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। এমন ভিড় সামলে পদ্মা পাড়ি দেওয়া অনেক কষ্টের।

ঘাটের টার্মিনালে আটকা পড়া পণ্যবাহী ট্রাকের চালক রোমান কাজী বলেন, রাত থেকে টার্মিনালে আছেন তিনি। অন্য জায়গার চেয়ে তুলনামূলক ঘাটে শীত অনেক বেশি। শীতের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টার্মিনালে বসে থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

আজ দুপুর ১২টার দিকে বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক মো. আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঘাটের টার্মিনালে ৩০০টি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান আটকা পড়েছে। এ ছাড়া সংযোগ সড়কে শতাধিক ছোট গাড়ি আছে। এসব যানবাহন ফেরি পারাপারের অপেক্ষায়। শিমুলিয়া ঘাটেও যানবাহনের এমনই চাপ রয়েছে।

আরও পড়ুন