বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপালকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী পাঠাল বাংলাদেশ

সোমবার দুপুরে ওষুধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী নিয়ে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে নেপালের উদ্দেশে তিনটি ট্রাক ছেড়ে যায়
ছবি : সংগৃহীত

পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সে দেশের জনগণের জন্য পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ওষুধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আজ সোমবার দুপুরে এসব ওষুধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী নিয়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে নেপালের উদ্দেশে তিনটি ট্রাক ছেড়ে যায়। ট্রাক তিনটি ভারতের ফুলবাড়ী স্থলবন্দরে হয়ে নেপালে পৌঁছাবে।

এ সময় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) সারোয়ার হোসেনসহ বন্দর–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নেপালের করোনা আক্রান্ত জনগণের জন্য ‘সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল’ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তরফে এসব ওষুধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী পাঠানো হয়। এসব সামগ্রীর মধ্যে সার্ক কোভিড-১৯ জরুরি তহবিল থেকে ১৫ হাজার বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং এক হাজার বোতল ফ্লোর ক্লিনার রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৪ লাখ ৫৫ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক, ৫০ হাজার এন-৯৫ মাস্ক, ৫০ হাজার কেএন-৯৫ মাস্ক এবং ৭৯ হাজার ৫৮০ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেট পাঠানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নেপালের করোনা আক্রান্ত জনগণের জন্য এসব ওষুধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী পাঠানো হয়।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো এসব স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী নিয়ে গতকাল রোববার বিকেলে তিনটি ট্রাক ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আসে। পরে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এসব সামগ্রী নিয়ে ওই ট্রাক তিনটিকে সোমবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ভারতের ফুলবাড়ী স্থলবন্দরের উদ্দেশে পাঠানো হয়। সেখান থেকে এই ট্রাক তিনটি নেপালের উদ্দেশে রওনা দেবে।

এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের জন্য পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে খাদ্যসহায়তা হিসেবে ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও পর্যাপ্ত খাওয়ার পানি পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার।