বাউফলে ইউপি চেয়ারম্যানের ঘরে হামলা, ভাঙচুর–লুটপাটের অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এ এন এম জাহাঙ্গীর হোসেনের বসতঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ল্যাংড়ামুন্সির পুল এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের পুত্রবধূ মোসা. ফারজানা ওরফে ইমা (২৪) অভিযোগ করেছেন, আতিকুর রহমান ওরফে মোহনের (৩০) নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আতিকুর দাসপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (একাংশ)  সভাপতি মোসা. নিলুফা বেগমের ছেলে।

এ বিষয়ে আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। তাঁরা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আমার ও আমার লোকজনের ওপর চাপাতে চান।’

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচন থেকে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে আতিকুর রহমানের পরিবারের বিরোধ চলে আসছে। সর্বশেষ ওই ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন। ওই সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আতিকুরের বাবা মো. জামাল হোসেন মৃধা। তিনি ওই নির্বাচনে হেরে যান। আতিকুরের বাবা প্রায় দেড় বছর আগে মারা যান। এখন আতিকুর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মরিয়া।

ফারজানা বলেন, এক স্বজনের বাড়ি থেকে বিকেলে তাঁরা নিজেদের বাড়িতে ফেরেন। পরিধেয় পোশাক পরিবর্তন করে তিনি ও তাঁর তিন বছরের ছেলে, শাশুড়ি রাশিদা বেগম (৫০) ও খালাশাশুড়ি রেহেনা বেগম (৪২) বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আতিকুরের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি দল ঘরে পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাঙচুর করতে থাকেন। তখন তাঁরা (হামলাকারী) ঘরে থাকা ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যান।

ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আতিকুরের অত্যাচারে তাঁর অনেক কর্মী-সমর্থক এলাকায় থাকতে পারছেন না। তিনিও আতঙ্কে আছেন। গত রোববার সকালে আতিকুর তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে লাঠিসোঁটা ও দা নিয়ে তাঁর বাসার সামনে এসে ঘোরাঘুরি করেন। তাঁকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। এ কারণে তিনি ওই দিন থেকে বাড়িতে যান না।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ রকম শুনেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।