বাউফলে দিনের বেলা সড়কে ট্রলি চলাচল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

দিনের বেলা সড়কে অবৈধ ট্রলি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পটুয়াখালীর বাউফল প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

ট্রলির ধাক্কায় এক শিক্ষকের মৃত্যুর পর পটুয়াখালীর বাউফলে দিনের বেলা সড়কে ‘অবৈধ ট্রলি’ চলাচল বন্ধের দাবি উঠেছে। আজ সোমবার উপজেলা সদর ও কনকদিয়া এলাকায় পৃথক মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়।

গত শনিবার সকালে উপজেলার কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লা স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মো. সরোয়ার হোসেন ওরফে সৈয়দ (৩২) ট্রলির ধাক্কায় আহত হয়ে মারা যান।

‘আমরা আর অবৈধ ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে আমাদের স্বজন হারাতে চাই না’ স্লোগান সামনে রেখে রোববার বেলা ১১টায় বাউফল সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে উপজেলা সদরের প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন ও সড়ক আবরোধ করা হয়। এক ঘণ্টাব্যাপী ওই কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়। ওই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বাউফল পৌর শহরে দিনের বেলা অবৈধ ট্রলি ও ট্রাক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মাইকিং করিয়েছেন বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক।

মানববন্ধনের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান বাচ্চুর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ, বাউফল পৌরসভা পোশাক মালিক সমিতির সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান সোহাগ, কলেজশিক্ষক ও সাংবাদিক মু. মঞ্জুর মোর্শেদ, বাউফল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান ডিউক, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে সকাল ১০টায় কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের সড়কে একই দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধের কর্মসূচি পালন করেন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে গত এক বছরে বাউফলে কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলির ধাক্কায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশত ব্যক্তি।