বাউফলে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের ওপর যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলা
পটুয়াখালীর বাউফলে মো. হেলাল উদ্দিন (৩২) নামের এক ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের ভাঙা সেতু এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত হেলাল উদ্দিন নওমালা ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক। এ ছাড়া তিনি আদাবাড়িয়া ও কনকদিয়া ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। তিনি নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম মোসলেম উদ্দিন খান।
নওমালা ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কবির মৃধার (৩৫) নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করেছেন।
আহত হেলাল উদ্দিন নওমালা ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক। এ ছাড়া তিনি আদাবাড়িয়া ও কনকদিয়া ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শকের অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন হেলাল উদ্দিন রাত পৌনে নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, আজ সন্ধ্যার দিকে তিনি বাড়ি থেকে স্থানীয় নগরের হাটে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে ভাঙা সেতু এলাকায় পৌঁছালে মো. কবির মৃধার নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল তাঁর পথরোধ করেন। ওই সময় তাঁরা তাঁকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হেলালের স্বজন ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হেলালের বড় ভাই মো. আবুল কালাম নওমালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় রাজনীতি নিয়ে আবুল কালাম ও কবির মৃধার বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে আবুল কালামের ছোট ভাই হেলালকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগ নেতা কবির মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ‘পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ সত্য না। তবে অল্প বয়সী কিছু ছেলেপেলে ধর ধর বললে হেলাল দৌড় দিয়ে সরে যায়।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।