বাউফলে যুব ও ছাত্রলীগ নেতার সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৬

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় নওমালা ইউনিয়নে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছে। আজ বুধবার সকালে নওমালা নগরের হাটবন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় একটি খাবারের হোটেল ও ভাসমান দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ববিরোধের জেরে আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নওমালা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. সোহাগের (২৬) সঙ্গে একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুন হাওলাদারের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সোহাগের সমর্থকেরা মামুনকে মারধর করে আহত করেন।

খবর পেয়ে মামুনের পক্ষের লোকজন নওমালা নগরের হাটবন্দর এলাকায় গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সাবেক সেনাসদস্য মজিবুর রহমান হাওলাদারসহ (৫০) কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ওই সময় হাটবন্দরের আবদুর রহিমের খাবারের হোটেল ও আলম ব্যাপারীর ভাসমান দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মো. মামুন হাওলাদারকে (৩৫) বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাদা হাওলাদারের সঙ্গে একই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন বিশ্বাসের বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে নওমালা ইউনিয়নে প্রায়ই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটে। গত পাঁচ বছরে দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২০–২৫টি মামলা হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদার এবং মো. মামুন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বিশ্বাসের সমর্থক।

বুধবারের সংঘর্ষের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ বলেন, তিনি একটি দোকানে বসে চা পান করছিলেন। তখন মামুন হাওলাদার পেছন থেকে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে। ওই সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে (মামুন) পিটুনি দিয়েছে।

এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা মামুন হাওলাদার বলেন, তিনি একটি জানাজার নামাজ শেষে সাড়ে নয়টার দিকে নওমালা নগরের হাটবন্দর এলাকায় পৌঁছালে সোহাগের নেতৃত্বে কয়েকজন তাঁর ওপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। এরপর কী হয়েছে, তা তিনি জানেন না।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারি হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছে। ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।