বাউফলে সেতু ভেঙে পড়ে আছে দেড় মাস

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার দোয়ানী খালের ওপরের সেতুটি দেড় মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে। গত বুধবার ইন্দ্রুকুল গ্রামে
প্রথম আলো

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ইন্দ্রুকুল এলাকায় দোয়ানির খালের ওপরের লোহার সেতুটি প্রায় দেড় মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে। এটি নির্মাণ না করায় কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচল করছেন।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে সূর্যমণি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ধলা মিয়ার বাড়ির দক্ষিণ পাশে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরপর আর কখনো মেরামত করা হয়নি। এতে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। প্রায় দেড় মাস আগে ধানের বীজবোঝাই টমটম যাওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে টমটমটি খালের মধ্যে পড়ে যায়।

ইন্দ্রুকুল গ্রামের আসমা বেগম বলেন, সম্প্রতি তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেতুটি ভেঙে পড়ে থাকায় ভুরা (কলাগাছের ভেলা) বানিয়ে খাল পার হয়ে মেয়েকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয়েছে।

দোয়ানী খালের ওপরের সেতুটি দেড় মাস ধরে ভেঙে পড়ে আছে। গত বুধবার পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ইন্দ্রুকুল গ্রামে
প্রথম আলো

সেতুটির কাছেই একটি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এটি দিয়ে ইন্দ্রুকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আকবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা, মধ্য ইন্দ্রুকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শতাধিক শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করত।

গত বুধবার গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির ওপর দিয়ে শিশুকে নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পার হচ্ছেন আকলিমা বেগম নামের এক নারী। পারাপারে তাঁকে সহযোগিতা করছেন আরেক ব্যক্তি।

আকলিমা বলেন, ভিটামিন খাওয়ানোর জন্য মেয়েকে নিয়ে তিনি ক্লিনিকে যাচ্ছেন।

জানতে চাইলে সূর্যমণি ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী ও ইউএনওকে জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আলী ইবনে আব্বাস বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।