বাগমারায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় আগ্রহ কম

করোনাভাইরাস
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় করোনাভাইরাস শনাক্তে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় লোকজনের আগ্রহ কম। কেবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশপাশের লোকজনই অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করছেন। এর বাইরে বিপুলসংখ্যক লোক করোনা উপসর্গ থাকা অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। লোকলজ্জা ও সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার আশঙ্কায় লোকজন অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করছেন না বলে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ দিনে উপজেলায় করোনা পজিটিভ হয়ে এলাকাতেই একজন মারা গেছেন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও সাতজন। স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন অপর একজন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের সময় গত বছর সাধারণ লোকজনের মধ্যে নমুনা দিয়ে পরীক্ষার আগ্রহ থাকলেও এবার নেই। গত বছর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহ করলেও এবার সে উদ্যোগ নেই। এ কারণে লোকজনও পরীক্ষায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ বছর সপ্তাহে দুদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চলছে একজন টেকনিশিয়ান দিয়ে।

করোনা পজিটিভ হলে সামাজিকভাবে হেয় হতে পারেন—এমন আশঙ্কায় অনেকে পরীক্ষা করাচ্ছেন না বলে মন্তব্য করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) গোলাম রাব্বানী। তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার হার কম হলেও শনাক্তের হার কম নয়। গতকাল শনিবার ২২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশপাশের লোকজনই বেশি অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করাচ্ছেন। সপ্তাহে দুদিন একজন টেকনিশিয়ান দিয়ে পরীক্ষা করানো যথেষ্ট কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দুজন টেকনিশিয়ান আছেন, তাঁরা দুজনই বয়স্ক। ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা পালাক্রমে পরীক্ষা করছেন। তবে এখন থেকে প্রতিদিনই পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঝিকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আবদুল মানিক প্রামাণিক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর এলাকায় বিপুলসংখ্যক মানুষ করোনা উপসর্গ নিয়ে বাস করছেন। তাঁরা অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করাচ্ছেন না। উপসর্গ থাকার পরেও দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। গতকাল বিকেলে এ রকম উপসর্গ নিয়ে একজন কৃষক মারা গেছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ বা বিভিন্ন এলাকায় অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা করলে শনাক্তের হার বাড়ার পাশাপাশি লোকজন উপকৃত হবেন।