বাগমারায় কৃষককে অপহরণের চেষ্টা, ৯৯৯ ফোন করে উদ্ধার

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯

পাওনা টাকা আদায়ের জন্য রাজশাহীর বাগমারায় এক কৃষককে গতকাল মঙ্গলবার রাতে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে কৃষককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতায় আহত কৃষককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ওই কৃষকের নাম আলাউদ্দিন আলী (৪০)। তিনি উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের মাঝিগ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল রাতে আলাউদ্দিন আলী গ্রামের একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ওই গ্রামের টিপু সুলতান ও পাশের চকমহব্বতপুর গ্রামের দেলশাদ আলী নামের দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে সেখানে যান। তাঁরা চায়ের দোকান থেকে ৩০ থেকে ৪০ গজ দূরে অন্ধকারে মোটরসাইকেল থামিয়ে সেখানে অপেক্ষা করেন। একপর্যায়ে টিপু সুলতান চায়ের দোকান থেকে কৃষক আলাউদ্দিনকে ডেকে পাঠান। আলাউদ্দিন সেখানে গেলে তাঁরা তাঁকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি চিৎকার শুরু করলে চায়ের দোকান থেকে লোকজন ছুটে আসেন। লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই কৃষকের চোখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে টিপু সুলতান পালিয়ে যান। পরে লোকজন মোটরসাইকেলসহ তাঁর সহযোগী দেলশাদ আলীকে ধরে ফেলেন।

ঘটনাস্থলে থাকা নাসিম নামের এক যুবক বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ জানান। পরে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অবস্থায় কৃষককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই দেলশাদ আলী মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান।

আহত কৃষকের পরিবার ও প্রতিবেশীরা বলেন, টিপু সুলতান দাদন ব্যবসা করেন। দাদনের পাওনা টাকা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। কৃষকের পরিবারের দাবি, যে পরিমাণ দাদনের টাকা টাকা নেওয়া হয়েছিল, তা পরিশোধ করা হয়েছে। এরপরও অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন টিপু সুলতান।

বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মালেক বলেন, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে আলাউদ্দিন আলী মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।