বাগমারায় দিঘি সংস্কার করার সময় মূর্তি উদ্ধার

রাজশাহীর বাগমারার নরদাশ থেকে উদ্ধার হওয়া মূর্তি
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুরোনো দিঘি সংস্কার করতে গিয়ে আবারও মিলেছে বিষ্ণুমূর্তি। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে পুলিশ মূর্তিটি উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে গত তিন মাসে চারটি মূর্তি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনটি পাহাড়পুরে জাদুঘরে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নরদাশের একটি সরকারি দিঘি স্থানীয় ইজারাদারের উদ্যোগে সংস্কারকাজ শুরু হয়। ভেকু মেশিন দিয়ে খননকাজ চলার সময় গতকাল রোববার বিকেলে ভেকুর সঙ্গে মূর্তিটি আটকে যায়।

শ্রমিকেরা মেশিনের সঙ্গে আটকে যাওয়া বস্তু অপসারণ করতে গিয়ে সেখান থেকে কালো রঙের মূর্তি আবিষ্কার করেন। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও লোকজনকে বিষয়টি জানানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে ছবি ও ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ছুটে আসেন সেখানে। পরে মূর্তিটি উদ্ধার করে স্থানীয় পানিয়া নরদাশ ডিগ্রি কলেজের ভেতরে নিয়ে যাওয়া যায়। এ সময় লোকজন মূর্তিটি দেখার জন্য ভিড় করেন। বিষয়টি থানা-পুলিশের নজরে এলে সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মূর্তি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, মূর্তিটি প্রাচীনকালের ‘রাধা–কৃষ্ণের’। দিঘি সংস্কার করতে গিয়ে সেটি উদ্ধারের পর রাতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, লোকজনের কাছ থেকে রাতে পুলিশ বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করে। এর অনেক দাম। প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।