বাগমারায় ধানের শীষ ও লাঙ্গলের প্রার্থীরা এবার নৌকা চান

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন
ছবি: প্রতীকী

২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ধানের শীষ ও লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করা দুজন প্রার্থী এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন। ওই দুজন হলেন নরদাশ ইউনিয়নের মতিউর রহমান ও কাচারী কোয়ালীপাড়ার মোজাম্মেল হক। এ ছাড়া মনোনয়নের জন্য উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন পরিষদের আরও ৮০ জনের নাম উপজেলা আওয়ামী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, তৃণমূল থেকে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ফরম বিতরণ করা হয়। পাঁচ হাজার টাকায় ফরম কিনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির কাছে জমা দেন। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে একজন করে সমন্বয়ক আছেন। তাঁরা তৃণমূল নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে ১৩ মার্চ একযোগে বিশেষ বর্ধিত সভার মাধ্যমে প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করেন। সেই তালিকা গত শুক্রবার রাতে উপজেলা কমিটির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেছেন, তাঁদের নামের তালিকা এখন জেলা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হবে।

২০১৬ সালে নরদাশ ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। আর কাচারী কোয়ালীপাড়ার মোজাম্মেল হক জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে হেরে যান। মতিউর রহমান ও মোজাম্মেল হক আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিতে আছেন। মতিউর রহমান নরদাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মোজাম্মেল হক উপজেলা কমিটির নির্বাহী সদস্য। গত ডিসেম্বরে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নরদাশ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, মতিউর রহমান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। মতিউর রহমান বলেন, তিনি বিএনপি থেকে নির্বাচিত হলেও পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। এ জন্য এবার আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

কাচারী কোয়ালীপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেন, মোজাম্মেল হক কখনো আওয়ামী লীগ করেননি। তিনি গত নির্বাচনে জাপা থেকে নির্বাচন করেছেন। দলেও কোনো দিন যোগ দেননি। হঠাৎ উপজেলা কমিটিতে পদ পেয়ে আওয়ামী লীগ বনে যান। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর নাম দলীয় প্রার্থীর তালিকায় থাকায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

মোজাম্মেল হকের ভাষ্য, তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই পদ পেয়েছেন। গত ইউপি নির্বাচনের পরেই আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি।