বাগমারায় নৈশপ্রহরী থেকে পৌর নির্বাচনের মাঠে কামাল হোসেন

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামাল হোসেন
সংগৃহীত

একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন কামাল হোসেন (৩০) নামের এক যুবক। রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অন্য তিনজন প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ছোটবেলার ইচ্ছা পূরণের জন্য তিনি নির্বাচন করছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর মেয়র প্রার্থী হওয়া নিয়ে এলাকায় বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যতসংখ্যক ভোটারদের সমর্থন প্রয়োজন, এর সঠিক প্রমাণসহ কামাল হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

কামাল হোসেন ভবানীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে কয়েক বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিদ্যালয়ের পাশেই তাঁর বাড়ি। এবারের পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকে নিজেকে সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালান। ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে ফেস্টুনও টাঙিয়েছিলেন। তবে স্থানীয় লোকজনের ধারণা ছিল তাঁর দৌড় ওই পর্যন্তই। তবে কামাল হোসেন থেমে যাননি।

ছোটবেলা থেকে জনসেবা করার ইচ্ছা। নির্বাচিত হলে রাস্তাঘাটের উন্নয়নের পাশাপাশি একটি শিশুসদন, বৃদ্ধাশ্রম স্থাপন ও পৌরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে উদ্যোগ নেবেন।
কামাল হোসেন, মেয়র প্রার্থী, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা

ভবানীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে  ১৬ জানুয়ারি। গত ১৫ ডিসেম্বর কামাল হোসেন নৈশপ্রহরীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। বর্তমানে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। পৌর এলাকায় নিজের নারকেলগাছ প্রতীকের পোস্টার টাঙানো ছাড়াও একাই ভোট চাইতে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন।

কামাল হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকে জনসেবা করার ইচ্ছা তাঁর। এ জন্য চাকরি ছেড়ে পৌর নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন। সাড়া কেমন পাচ্ছেন? কামাল বলেন, তাঁর প্রতি ভোটারদের সমর্থন আছে। সাড়াও বেশ ভালো পাচ্ছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। আর নির্বাচিত হলে পৌরসভার রাস্তাঘাটের উন্নয়নের পাশাপাশি একটি শিশুসদন, বৃদ্ধাশ্রম স্থাপন ও পৌরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন।

কামাল হোসেনের মেয়র প্রার্থী হওয়া নিয়ে রাজশাহী জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, ভোটাররা চাইলে অবশ্যই তিনি প্রার্থী হতে পারেন। এটি সমালোচনার কোনো বিষয় নয়।

আর স্থানীয় কয়েকজন ভোটার বলেন, বিভিন্ন সময় এলাকায় ব্যানার ও ফেস্টুন টাঙানোর পর তাঁরা ভাবছিলেন কামাল নিজের প্রচারের জন্য এসব করছেন। চাকরি ছেড়ে মেয়র পদে নির্বাচন করবেন, তা ভাবতে পারেননি তাঁরা। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে নেমে তিনি সবাইকে চমক দিয়েছেন।