বাগেরহাটে মাছচাষির গলাকাটা লাশ উদ্ধার, জড়িত সন্দেহে আটক ২

লাশ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় শৈলেন্দ্রনাথ মণ্ডল (৭০) নামের এক মাছচাষির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে উপজেলার খিলিগাতি এলাকার একটি মাছের ঘেরের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শৈলেন্দ্রনাথ খিলিগাতি গ্রামের প্রয়াত মহেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে। পুলিশ নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ শৈলেন্দ্রনাথের মাছের ঘেরের দুই শ্রমিককে আটক করেছে। তাঁরা হলেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীখালী গ্রামের সুব্রত হালদার (২৭) ও অপূর্ব মণ্ডল (১৯)।

নিহত শৈলেন্দ্রনাথের বড় জামাতা মিলন কুমার বাড়ই প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘেরে কাজ করানোর জন্য গত বুধবার আমার শ্বশুর পার্শ্ববর্তী ফকিরহাট উপজেলা থেকে ওই দুই শ্রমিককে বাড়িতে এনেছিলেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে ওই দুই শ্রমিককে নিয়ে বাড়ির পাশের মাছের ঘেরের সেচ মেশিন বন্ধ করতে যান তিনি। দিবাগত রাত দুইটার দিকে ওই দুই শ্রমিক বাড়ি ফিরে আসেন। তবে তখন তাঁদের সঙ্গে শ্বশুরকে না দেখে আমার শাশুড়ি তাঁদের কাছে তাঁর বিষয়ে জানতে চান।’

নিহত ব্যক্তির পরিবারের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, তাঁর স্বামী কোথায় শ্রমিকেরা এর কোনো জবাব না দেওয়ায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী তাঁদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে সন্দেহে ডাক-চিৎকার দেন। তখন ওই দুই শ্রমিক পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ির পার্শ্ববর্তী ঘেরের ধানখেত থেকে শৈলেন্দ্রনাথের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিক অভিযানে চিতলমারী পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওই দুই শ্রমিককে আটক করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

আশরাফুল আলম আরও বলেন, শৈলেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ঘরে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই এ হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা–ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।